রোজায় যা খাবেন আর খাবেন না

|

সারাদিন রোজা রেখে ইফতারিতে অনেকে খাবারের প্রতিযোগিতা নেমে পড়ে। কে কত খেতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে এমন নয় বরং সুষম, সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

দিনের বেলায় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে রোজার শেষে শরীর, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুকোষ খাবারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক শক্তির জোগান চায়। তাই দীর্ঘ সময় পর ইফতারে খাবারটাও তেমন সহজ ও সুপাচ্য হওয়া চাই। চাই স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর ও সুষম। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুয়ায়ী জেনে নেয়া যাক, কী খাওয়া যাবে আর কী খাওয়া যাবে না।

• খেজুর খাওয়া জরুরি। এতে আছে শর্করা, চিনি, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার, সালফার, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন, ক্লোরিন ফাইবার। যা সারাদিন রোজা রাখার পর খুবই দরকার।

• চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিলে ভালো হয়। এটা খুব তাড়াতাড়ি রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ওজন বাড়ায়। তাই যথাসম্ভব চিনি ও চিনিযুক্ত খাবার কম খান।

• সবজি ও ফল খেতে হবে নিয়ম মতো। তা না হলে এই সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে নিত্যসঙ্গী।

• এই গরমে অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি না খেলে হজমের সমস্যা হবে। ইফতারের পর থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত একটু পরপর পানি খেতে হবে।

• সুষম খাবার খেতে হবে। আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন, দুধ, দই, মিনারেল, আঁশ ইত্যাদি খেতে হবে নিয়ম মতো।

• আঁশসমৃদ্ধ খাবার যেমন লাল আটা, বাদাম, বিনস, শস্য, ছোলা, ডাল ইত্যাদি খেতে হবে। এগুলো হজম হয় আস্তে আস্তে। তাই অনেক সময় পর ক্ষুধা লাগে। রক্তে চিনির পরিমাণ তাড়াতাড়ি বাড়ে না।

• কাচা ছোলা খাওয়া ভালো। তবে তেল দিয়ে ভুনা করে খাওয়া ঠিক না।

• চা, কফির মাত্রা কমাতে হবে। তা না হলে পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ঘুমের সমস্যা হতে পারে।

• সেহেরিতেও খুব বেশি খাওয়া বা সেহেরি না খাওয়াও ঠিক না। সেহেরি না খেলে শরীর দুর্বল হয়ে যাবে।

• বর্জন করতে হবে ভাজা-পোড়া ও গুরুপাক খাবার। যেমন: ছোলা ভুনা, পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, হালিম, বিরিয়ানি ইত্যাদি বাদ দিতে হবে।

• প্রতিবেলা মাংস না খেয়ে অন্তত একবেলা মাছ খেতে চেষ্টা করতে হবে।

• সহজপাচ্য খাবার, ঠান্ডা খাবার যেমন দই, চিড়া খাবেন। তাহলে সারাদিন রোজা রাখা নাজুক পাকস্থলী ঠিকমতো খাবার হজম করতে পারবে।

• কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ইসবগুল খেতে পারেন।

• বেশি দুর্বল লাগলে ডাবের পানি বা স্যালাইন খেতে পারেন ইফতারের পর।

• কোমল পানীয় ঘুমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি, আলসার ইত্যাদির কারণ। তাই এ কোমলপানীয়কে সারা জীবনের জন্য পারলে বাদ দিন।

যারা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, কিডনি ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত, তারাও রোজা পালন করতে পারেন। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধের ডোজ, খাবারদাবার ও নিয়মকানুন জেনে নেয়াই ভালো।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply