‘কপাল যার সিদ্ধান্ত তার’

|

প্রতীকী ছবি।

কপালে টিপ পরার কারণে ঢাকার রাস্তায় লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এক নারী। শেরেবাংলা নগর থানায় করা অভিযোগে তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ভুক্তভোগী লতা সমাদ্দার জানান, পায়ে হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন ‘টিপ পরছোস কেন’ বলে বাজে গালি দেন তাকে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশের পোশাক পরা ছিলেন বলেও জানান লতা। আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করলে একপর্যায়ে সেই ব্যক্তি তার পায়ের ওপর দিয়ে বাইক চালিয়ে চলে যান।

এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যামে আলোচনায় এলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, বিশেষ করে নারীরা কথা বলতে শুরু করেন। সবাই টিপ পরা নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বা এর প্রতি সমর্থনসহ নানা ধরনের পোস্ট করেন। সাহানা রহমান নামে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিজের টিপ পরা ছবি শেয়ার করে লেখেন, টিপ পরা নিয়ে কম হেনস্থার শিকার হতে হয়নি আমাকে। একবার চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম ধর্ম ক্লাসে প্রক্সি দিতে পাঠানো হয়েছিলো, শাড়ির সাথে টিপ পরা আমাকে দেখে এক ছাত্র বললো, যে হিন্দু হয়ে আমি ইসলাম শিক্ষা কীভাবে পড়াবো? আমি তো টিপ পরেছি, টিপ তো হিন্দুরা পরে, সে জানে; কাজেই আমি হিন্দু।

মনতোষ সূতার নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, কপাল যার সিদ্ধান্ত তার। 

নূর মোহাম্মদ নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, এ কথা যদি কোনো মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী বলতো, তাহলে সুশীলরা এতক্ষণে তাদের ক্লাস নিতো। তিনি আরও লেখেন, আমাদের প্রতিরক্ষার প্রথম স্তর পুলিশ- রাষ্ট্রীয় পোশাকে, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পালিত একজন অসভ্য, অমার্জিত, অসংস্কৃত ও ধর্মোন্মাদের বিশ্বাস এবং অনুশীলনের উর্বরতা দেখে আমি বিস্মিত হইনি।

ইয়াসমিন রিমু নামে একজন সংবাদকর্মী লেখেন, টিপ পরি, পরবোই। আমার ঐতিহ্য, সাজ অথবা নিতান্তই ইচ্ছা। বাধা দিলে বাঁধবে লড়াই।

ঘটনার প্রতিবাদে নিজের বেশ কিছু টিপ পরা ছবি পোস্ট করে জোৎস্না লিপি নামে একজন লিখেছেন, আমি টিপ পরতে ভীষণ ভালোবাসি! তাই আমার প্রতিদিনের সাজের তালিকায় প্রথম পছন্দ টিপ।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply