মৃত্যুদূতের ভূমিকায় রাজধানীর ময়লার গাড়ি

|

রাজধানীতে ময়লার গাড়ি যেন মৃত্যুদূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। টানা কয়েক মাস ধরে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। গাড়ি চালকের অদক্ষতা ও খামখেয়ালিপনাকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দুষছেন অনেকে। উল্টো কথা বলছেন ময়লার গাড়ির চালকরা। তবে সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, দুর্ঘটনা রোধে ড্রাইভার নিয়োগে আগের চেয়ে সতর্ক অবস্থানে তারা।

গত বছরের নভেম্বরে ময়লার গাড়ি চাপায় নটরডেম কলেজের এক শিক্ষার্থী মারা গেলে নতুন করে শুরু হয় আলোচনা। প্রশ্ন ওঠে, সিটি করপোরেশনের আবর্জনাবাহী গাড়ি ও তার চালকদের নিয়ে। গেলো কয়েক মাসে এসব গাড়িতে পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। এক হিসাব বলছে, গত পাঁচ বছরে ময়লার ট্রাকে চাপা পড়ে মারা গেছেন ১২ জন।

চালকের অদক্ষতা ও খামখেয়ালিপনাকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দেখছে নগরবাসী। মূল চালকের পরিবর্তে সহকারী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক কাউকে দিয়ে গাড়ি চালানোর ফলেও ঘটছে দুর্ঘটনা। যদিও ময়লার ট্রাকের চালকরা দোষ দিচ্ছেন উল্টো পথচারীর ঘাড়ে। তারা বলছেন, চলন্ত গাড়ির সামনে অসেচতন পথচারী চলে এলে কিছু করার থাকে না চালকের।

তবে দোষারোপ না করে সংকটটি সমাধানে মনযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা। দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বানও জানালেন তিনি।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা ও সড়ক আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা গেলে অপ্রত্যাশিত এসব দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply