ভুল কীটনাশক ব্যবহার করে সর্বশান্ত হয়েছেন লালমনরিহাটের কৃষক সোলায়মান। পুড়ে গেছে ৬ বিঘা জমির ধান ক্ষেত। কীটনাশক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তদন্ত করছে কালীগঞ্জ থানা। ঘটনা অনুসন্ধানে নেমেছে উপজেলা কৃষি অফিসও। কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক সোলায়মান আলী। নিজের জমি না থাকায় ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে আসছেন। ধানের জমিতে মাজরা পোকার আক্রমণ রোধে স্থানীয় বাজারে গিয়ে কীটনাশক চাইলে দোকানী শফিকুল ইসলাম শফিক তাকে তরল আগাছানাশক ‘প্যারাকোয়াট’ দেন। সেই প্যারাকোয়েট ধান ও সবজি ক্ষেতে স্প্রে করলে ধানের পাশাপাশি লাউয়ের আবাদও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরপর ক্ষতিপূরণ দাবি করেন কৃষক সোলায়মান আলী। তবে তাতে কোনো সাড়া দেননি অভিযুক্ত দোকানী।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগে করেন সোলায়মান আলী। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন, পুলিশ কর্মকর্তা। অন্যদিকে, ধান ও সবজি নষ্ট হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে উল্লেখ করে কালীগঞ্জ উপজলো কৃষি অফিসার মাহমুদা খাতুন বলেন, তদন্তে যদি বের হয় তাকে এই কীটনাশক ওই দোকানীই দিয়েছেন, তাহলে আমরা তার লাইসন্স বাতিল করতে পারি। আর ক্ষতিপূরণ হিসেবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থকে বীজ ও সার দেবো।
এ বিষয়ে কীটনাশক বিক্রেতা ভাই ভাই ফার্টিলাইজারের মালিক শফিকুল ইসলাম শফিক ক্যামেরার সামনে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এসজেড/
Leave a reply