অভাব নয়, অন্তুর আত্মহত্যার কারণ তাহলে কী?

|

কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তু রায়ের আত্মহত্যার কারণ এখনও আঁধারে ঢাকা। অভাবের কারণে সে আত্মহত্যা করেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রচার হলেও তার তা মানতে নারাজ তার পরিবার। তারা বলছেন, আত্মমর্যাদায় আঘাত করে এমন কোনো আচরণ সহ্য করতে পারতেন না অন্তু। তার সহপাঠীরাও বলছেন, প্রচণ্ড অভিমানী ছিল সে। তবে চরম হতাশা ও বিষণ্নতা থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে বলে মত দিয়েছেন মনোবিজ্ঞানীরা।

মাত্র দুটি ঘরের একটিতে থাকতেন বাবা-মা আরেকটিতে ভাই-বোন। সেই ঘরেই আত্মহত্যা করে অন্তু। ঘরটিতে এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অন্তুর পোশাক, বইপত্র। সেদিনের পর ঘরটিতে আর কেউ প্রবেশ করেনি।

অন্তুর বন্ধু সৌরভ জানায়, গত ২৭ মার্চ অ্যাকাডেমিক ভাইভা থাকলেও অংশ নেয়নি অন্তু। এমনকি তাকে ক্যাম্পাসে দিয়ে আসার পরও পরীক্ষায় দেয়নি সে। বিষণ্নতাকে তার আত্মহত্যার কারণ মনে করেন সৌরভও।

সেমিস্টার ফি বাবদ দুই হাজার সাতশ এবং হলের বকেয়া ছয় হাজার টাকাও যোগাড় করে পরিবার। তবে সে টাকা অন্তু জমা দেয়নি। মৃত্যুর পর ঘরেই পাওয়া যায় সে টাকা। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা সরোয়ারও বলছেন মানসিক চাপেই এমন অঘটন ঘটিয়ে থাকতে পারে সে।

খুলনা সুন্দরবন কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র অধিকারী মনে করেন, বিভিন্ন ধরনের হতাশা ও বিষণ্নতা থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটে।

এদিকে, অন্তু রায়ের আত্মহত্যার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনও পুলিশের কাছে পৌঁছায়নি। আকস্মিক এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে স্বজন ও এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে ডমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া গ্রামের নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন অন্তু।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply