মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনি ও বিকল্প পথ জানতে চেয়েছেন ইমরান খান

|

ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত।

জরুরি বৈঠকে মন্ত্রীদের কাছে আইনি ও বিকল্প পথ জানতে চেয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার (৯ এপ্রিল) দেশটির স্থানীয় সময় রাত ৯টায় মন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন তিনি। খবর নিউজ ১৮ এর।

সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অবজ্ঞা করা থেকে রক্ষা পেতে বৈঠকে ইমরান খানকে পদত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশীদ আহমেদ, এমনটা বলা হয়েছে গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে।

এদিকে, পাকিস্তানের সরকার চাইছে যে করেই হোক শনিবার দিনটি পার করে দিতে। অন্যদিকে, বিরোধীরা চাচ্ছে রাতের মধ্যে অনাস্থা ভোট হোক।

প্রসঙ্গত, ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট নিয়ে দিনব্যাপী চলছে নাটকীয়তা। ক্ষমতাসীনদের তরফ থেকে নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে ভোটাভুটি বিলম্বিত করার। ফলে পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরুর ১৪ ঘণ্টা পার হলেও অনাস্থা ভোট হয়নি। সেই সাথে, দফায় দফায় চলছে অধিবেশন মুলতবি।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায়ই শুরু হয় পার্লামেন্টের অধিবেশন। শুরুতেই অনাস্থা ভোটের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি তোলেন বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে কিছুটা হট্টগোল হতেই দেড় ঘণ্টার জন্য অধিবেশন মুলতবি করেন স্পিকার। কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই অধিবেশন বন্ধ থাকে ঠিক সাড়ে তিন ঘণ্টা। বিরোধীরা অভিযোগ করে বলেন, অনাস্থা ভোট ঠেকাতে শেষ মুহূর্তেও অনেক কূটচাল চালছেন ইমরান। সেজন্যই পার্লামেন্টে পরিকল্পিতভাবে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। তাদের দাবি, শনিবারের মধ্যে অনাস্থা ভোট না হলে অবমাননা হবে আদালতের। পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা শেহবাজ শরিফ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান

পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, এভাবে বিলম্বের মাধ্যমে আদালতকে অবমাননা করা হচ্ছে। তাই বলবো, আদালতের নির্দেশ মেনে ভোট শুরু করুন।

নিজের ভাগ্য নির্ধারণের দিনে অধিবেশনে যোগ দেননি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পিটিআই নেতারা দাবি তোলেন, অনাস্থা ভোটের আগে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট পার্লামেন্টের কার্যসূচি নির্ধারণ করে দিতে পারে না বলেও দাবি করেন তারা। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। আর যারা এই ষড়যন্ত্রের নাটক পরিচালনা করছে সেই তথ্য নিশ্চই ফাঁস হবে। ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না। তাদের জন্য গোটা দেশকে পস্তাতে হবে। তাই জাতিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা মাথা নত করে বাঁচবো নাকি মাথা উঁচু করে বাঁচবো।

ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট নিয়ে কয়েকদিন ধরেই নাটকীয়তা চলছে পাকিস্তানে। ৩ এপ্রিল পার্লামেন্টে ভোটাভুটির কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার। ভেঙে দেয়া হয় পার্লামেন্টও। পরে সে সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি বলে রায় দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply