লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটে সুপারি চুরি করার অভিযোগে চয়ন চন্দ্র (১২) নামে এক ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীকে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত মারধরের ফলে অসুস্থ শিশু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
শনিবার (৯ এপ্রিল) বিকালে সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ হিরামানিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার প্রিয়নাথ রায় ও তার পুত্র রবিন চন্দ্র রায় শিশু চয়ন চন্দ্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেন। চয়ন চন্দ্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রিয়নাথ রায়ের গাছের সুপারি চুরি করার অভিযোগে মিন্টু চন্দ্রের ছেলে চয়নকে ধরে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে গাছে বেঁধে শুরু করে নির্যাতন। এরপর গাছের বাঁধন খুলে ঘরের ভেতরে পিলারের সাথে বেঁধে ফেলেন। পরে পিলার থেকে বাঁধন খুলে দিয়ে মাটিতে বসিয়ে রেখে মারধোর করেন। এক পর্যায়ে চয়ন চন্দ্র অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার কালী প্রসাদ জানান, শারীরিক নির্যাতনের শিকার এক শিশুকে রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে।
চয়নের বাবা মিন্টু চন্দ্র জানান, আমার সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছেলেকে মারধর করার জন্য আগামীকাল থানায় অভিযোগ দায়ের করবো।
এটিএম/
Leave a reply