শাহজালাল বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে বাংলাদেশ বিমানের দুটি বোয়িং এর মধ্যে মুখোমুখী সংঘর্ষে বিমান দুইটির গুরুত্বপুর্ণ অংশের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের কারণ অনুসন্ধানে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে বিমান দুটিকে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রকৌশল শাখার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রোববার (১০ এপ্রিল) হ্যাঙ্গারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং-৭৭৭ আগে থেকেই দাঁড় করানো ছিল। এ সময় প্রকৌশলীরা সদ্য মেরামত করা অপর আরেকটি বোয়িং-৭৩৭ এর ইঞ্জিন স্টার্ট দিয়ে পেছনের দিক দিয়ে হ্যাঙ্গারে ঢোকানোর সময় ভেতরে থাকা বোয়িং-৭৭৭ এর সামনের অংশে (নোজ) আঘাত লাগে। এতে আঘাত করা এয়ারক্র্যাফট বোয়িং-৭৩৭ এর পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
বলাকা ভবন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মেরামত করা বোয়িং-৭৩৭টি যখন হ্যাঙ্গারে ঢোকানোর সময় সেখানে কমপক্ষে চারজন প্রকৌশলী উপস্থিত থাকার কথা, কিন্তু দুর্ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাত্র দুজন।
শাহজালাল এয়ারপোর্ট সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তারা জানান, দু’টি এয়ারক্র্যাফটই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এটি নাশকতা কিনা সেটি তদন্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা ২১টি। এরমধ্যে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ৪টি, বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার ৩টি, বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ৪টি, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ৬টি এবং ৫টি ড্যাশ-৮।
উল্লেখ্য, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সাথে ৩টি মডেলের ১০টি নতুন বিমান ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারে ক্রয়ের জন্য চুক্তি করে। ১০টি উড়োজাহাজের মধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, ২টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং ৪টি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ অর্ডার করা হয়। পরে ২০১৯ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আরও দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ক্রয় করে।
/এসএইচ
Leave a reply