বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ, তবু কেন লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি?

|

দেশের মোট বিদ্যুতের চাহিদার চেয়ে উৎপাদন সক্ষমতা বেশি। কিন্তু জ্বালানি সংকটে কাজে আসছে না সক্ষমতার হিসাব। রাজধানীতে সরবরাহ ঠিক থাকলেও দিনে চার-পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে থাকছে দেশের বেশিরভাগ গ্রাম। এমনকি ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলোতেও দেখা দিচ্ছে বিদ্যুৎ সংকট। রোজার শুরু থেকেই লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি এখন লাখো মানুষের নিত্যসঙ্গী। তবে বিদ্যুৎ বোর্ডের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, জ্বালানি গ্যাসের অভাবেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরা, যার প্রভাবে বেড়েছে লোডশেডিং।

চার পাঁচবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়া এখন নিত্যকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজশাহীতে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। চৈত্রের দাবদাহে ক্লান্ত নগরবাসীর প্রশ্ন, কবে মিলবে এর সমাধান। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও আশেপাশের জেলার অধিবাসীরা। অভিযোগ, রোজার শুরু থেকেই বেড়েছে বিপত্তি। প্রয়োজনের সময়ে কিছুতেই মিলছে না বিদ্যুৎ।

সারাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে বারো থেকে সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। উৎপাদনের সক্ষমতা ২২ হাজার ২১৫ মেগাওয়াট। নেত্রকোণায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী বরুণ ব্যানার্জির মতে, জ্বালানি গ্যাসের অভাবেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই খরা। তিনি বলছেন, বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের কিছু কূপ বন্ধ থাকায় কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যহত হচ্ছে।

এদিকে বিদ্যুতের অভাবে বিকল্প পদ্ধতির উৎপাদনে ব্যয় বাড়ছে শিল্পকারখানা ও কৃষিতে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply