শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার শেষ করে দেয়ার হুমকির অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

|

বরিশাল ব্যুরো:

এক ছাত্রকে শার্টের কলার ধরে লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর সুপ্রভাত হালদারের বিরুদ্ধে লাঞ্ছনার অভিযোগ করেছেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্র এবিএম মুশফিকুর রহমান।

সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনের ৪র্থ তলায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ওই ছাত্র। এ নিয়ে হোয়াটস আপের মাধ্যমে উপাচার্যকে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহমান।

২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মুশফিকুর রহমান জানান, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অধ্যয়নরত সহপাঠীদের সাথে দেখা করতে দুপুরে অ্যাকাডেমিক ভবনের ৪ তলায় ওঠেন তিনি। তার পৌঁছনোর আগে থেকেই সেখানে হৈচৈ হচ্ছিল। এ সময় আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদার সবাইকে ডাকেন। তিনি বলেন, আমি স্যারকে চিনতে পারিনি। ভেবেছিলাম আগে থেকেই যে বন্ধুরা ওখানে অবস্থান করছে স্যার তাদেরকে ডেকেছেন। তাই আমি ৪ তলা থেকে নিচের দিকে নেমে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে আমার শার্টের কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে আমাকে ৪র্থ তলায় আইন বিভাগে তার রুমে নিয়ে যান। সেখানে আমাকে ১০/১৫ মিনিট আটকে রাখেন। আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেয়ার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তিনি ফোন করে প্রক্টর স্যারকে ডাকেন। তিনি এসে আমাকে রুম থেকে বের করে নিয়ে যান।

মুশফিকুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, প্রক্টর স্যার শুধু সুপ্রভাত স্যারের কথাই শুনেছেন, আমার কোনো কথা শোনেননি। উল্টো তিনি আমাকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে ভুলে যেতে বলেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর সুপ্রভাত হালদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে প্রক্টর খোরশেদ আলম বলেন, খবর পেয়ে আমি আইন বিভাগে গিয়ে ওই ছাত্রকে আমার রুমে নিয়ে আসি। দুজনের কাছ থেকেই ঘটনাটি শুনেছি। বড় ধরনের কোনো কিছুই হয়নি। শিক্ষক ছাত্রকে ডেকেছিলেন, ছাত্র তাতে সাড়া দেয়নি। এ নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে মাত্র। তারপরেও অভিযোগ যখন দিয়েছে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply