স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ:
নেশা করতে বাধা দেয়ায় মানিকগঞ্জে এক নারী নির্মাণ শ্রমিক গণধর্ষনের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনো ধরাছোয়ার বাইরে আরো দুই আসামী।
সদর উপজেলার জয়রা এলাকায় গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন রাতে নির্যাতিতা ওই নারী (৪০) থানায় মামলা দায়ের করেন।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী জানান, জয়রা এলাকায় একটি টিনশেড বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকেন। রাজ মিস্ত্রির সহযোগী হিসাবে কাজ করেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে এলাকার বখাটে জুয়েল, ওয়াসিম, রিফাত ও সাদ্দাম তার রুমে বসে মাদক সেবন করতে চায়। কিন্তু তিনি রাজি হননি। তখন তাকে দেখে নেয়ার কথা বলে চলে যান মাদকাসক্তরা।
রাত ১১টার দিকে ওই যুবকরা বাড়িতে ঢুকে দরজা খুলতে বলে। সাড়া না দেয়ায় দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে অভিযুক্তরা। ওই নারীকে মারধরসহ রাতভর পালাক্রমে নির্যাতন চালানো হয়। এসময় পাশের রুমের আরেক ভাড়াটিয়াকে ডাকাডাকি করলেও, মাদকাসক্তদের ভয়ে তারা বের হননি।
গণধর্ষনের এ ঘটনা থামাচাপা দিতে সকালে এলাকার পরিচিত কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ধর্ষকরা ওই নারীর হাতে-পায়ে ধরে মাফ চান। নেশায় মাথা ঠিক ছিলো না বলে তাদের ক্ষমা করে দিতে বলেন। ধর্ষকদের হাতে পায়ে জড়িয়ে ধরার সেই দৃশ্যের ভিডিও ফুটেজও এসেছে যমুনা নিউজের হাতে।
আপোষ-মীমাংসায় রাজি না হলে ধর্ষকরা ওই নারীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জুয়েল ও সাদ্দামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এখনো ধরা পরেনি মামলার অপর দুই আসামী রিফাত ও ওয়াসিম।
পাশের বাসার ভাড়াটিয়া নাসিমা ও আশা জানান, বাড়িটি ফাঁকা জায়গায় হওয়ায় মাদকাসক্তরা প্রায়ই তাদের উত্যক্ত করে থাকে। ওই চার অপরাধীও এলাকার চিহিৃত মাদকসেবী। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রকিবুজ্জামান জানান, আজ সোমবার ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a reply