কর্মস্থলে কোনো শ্রমিক নিহত হলে তার পরিবারকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। নিহতের সন্তান ডাক্তারি কিংবা টেক্সটাইলে পড়লে দেয়া হবে ৩ লাখ টাকা এবং কোন শ্রমিক দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হলে দেয়া হবে ১ লাখ টাকা। এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।
মে দিবস উপলক্ষে সকালে রাজউক ভবনের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি দৈনিক বাংলা মোড়, পল্টন সচিবালয় হয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
প্রেসক্লাবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরি বাস্তবায়ন করেনি। এ কারণে পোশাক খাতে কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। যারা কর্মস্থলে নিহত আর আহত হবেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আর নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট আছে। একে অন্যকে প্রতিপক্ষ না ভেবে মালিক-শ্রমিকদের একসাথে কাজ করতে হবে। আর যে ক্ষতিপূরণে ঘোষনা দেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন চায় শ্রমিকরা।
এছাড়া শ্রমিক নেতারা বলছেন, এখনও মানা হচ্ছে না নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা, নিরাপদ হয়নি কর্মপরিবেশ। ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করায় নিশ্চিত হচ্ছে না ন্যূনতম জীবনমান।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, মে দিবসের অম্লান ইতিহাস ও শিক্ষা অনাগত ভবিষ্যতে এদেশের মেহনতি মানুষের ন্যায্যতা আদায়ে উদ্দীপনা জুগিয়ে যাবে।
যমুনা অনলাইন: আরএম
Leave a reply