রাখাইন রাজ্য সফর করছেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দল। সহিসংতা কবলিত গ্রামগুলোর পাশাপাশি প্রত্যাবসনের পর সংখ্যালঘুদের জন্য নির্মিত আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখবেন তারা। এদিকে রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত- আইসিসিতে নিতে প্রতিনিধি দলটিকে আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
মঙ্গলবার সকালেই সেনা নিপীড়ণের শিকার রোহিঙ্গা গ্রামগুলো পরিদর্শনের উদ্দেশে রাখাইন রাজ্যে যান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলটি। রওনা হওয়ার আগে প্রাদেশিক রাজধানী সিতওয়ে’তে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে তাদের বৈঠক হয়। যেখানে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা তাদের জানানো হয়।
মংডুর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিন্ত খিন বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থাপন করা তোয়াংপিও এবং লা ফোয়ে খাওয়াং আশ্রয় শিবির পরির্দশন করবে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলটি। সেখান প্রত্যাবসনের পর বাংলাদেশ থেকে ফেরা আশ্রিতদের জন্য কি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে সেসব দেখবেন তারা। এছাড়া মংডুর গ্রামগুলোও তাদের ঘুরিয়ে দেখানো হবে।
এর আগে সোমবার মিয়ানমার পৌঁছেই রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি’র সাথে সাক্ষাত করে দলটি। এসময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে আইনের শাসনের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন সু চি। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের কোনো প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং লাইয়ের সাথেও বৈঠক করেন তারা।
এদিকে মিয়ানমার সফররত জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলকে রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পরিচালক কেনেথ রথ বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গা নির্যাতনের ইস্যুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে উত্থাপন করা। কারণ রাখাইনে যা হয়েছে তা মানবতা বিরোধী অপরাধ এই বিষয়ে কোনো সন্দেহই নেই।
গেলো সেপ্টেম্বর থেকে, মিয়ানমারের সেনা নিপীড়ণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পাড়ি জমান ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, সেসময় অত্যাচারে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
Leave a reply