পেঁয়াজে সয়লাব সারা দেশের বাজার। কিন্তু হাসি নেই চাষির মুখে। ধারাবাহিকভাবে দাম কমতে থাকায় ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না তারা। মণপ্রতি লোকসান গুনছেন প্রায় চারশ টাকা। এই অবস্থায় আমদানি নিয়ন্ত্রণসহ টিসিবির মাধ্যমে দেশি পেঁয়াজ বিক্রির দাবি উঠেছে। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন সংরক্ষণাগার তৈরির উদ্যোগের কথা।
এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত ফলনও এসেছে। আড়তে ১৮ থেকে ১৯ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন চাষিরা। প্রতি মণে লোকসান ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি জাতের দাম মানভেদে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। আর আমদানি জাত বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। চাষিদের দাবি, সরকার টিসিবির মাধ্যমে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করলে কিছুটা ভালো দাম মিলবে।
উন্নত প্রযুক্তিতে সংরক্ষণ করা গেলে পরে ভালো দামে বেচা যাবে এসব পেঁয়াজ। এতে লাভবান হবে কৃষক। ফরিদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংশু দাশ জানালেন, এ ধরনের সংরক্ষণাগার তৈরির পরিকল্পনা করছেন তারা।
এছাড়া সরকার ভর্তুকি দিয়ে যে পেঁয়াজ কিনে টিসিবির মাধ্যমে বিতরণ করে, সেটি আমিদানি না করে যদি কৃষকের কাছ থেকে কেনে, তাতে দুই পক্ষই লাভবান হয়। কৃষকের এমন প্রস্তাব কর্তৃপক্ষের নজরে আনার প্রস্তাব দিলেন মুন্সিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ডিডি খুরশিদ আলম।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য বলছে, বছরে ২৪ লাখ টনের চাহিদা আছে। আমদানি করতে হয় তিন লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ।
/এডব্লিউ
Leave a reply