মানসম্পন্ন বাসের সংখ্যা বাড়িয়ে রাজধানীর ৩শটি বাসরুট ২১টিতে নামিয়ে আনলে অসহনীয় যানজট কমতে পারে। এক্ষেত্রে দিল্লির অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এসব কার্যক্রম সরাসরি দেখভালে দুই সিটির অধীনে স্বতন্ত্র পরিবহন ইউনিট গঠনের পরামর্শও তাদের। সড়ক পরিবহন সচিব বলছেন, যানজট নিরসনে গণপরিবহণের ওপর জোর দিয়েছে সরকার।
যানজটের এমন ভয়াবহ অবস্থা এক সময় ভারতের রাজধানী দিল্লিতেও ছিল। ৬৫৭টি বাস রুটকে ১৭টি ক্লাস্টারে ভাগ করায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে তাদের যানজট। এক্ষেত্রে দিল্লি পরিবহন কর্তৃপক্ষ সরকারি বাস বাড়িয়ে উদ্ধুদ্ধ করেছে বেসরকারি বাস মালিকদেরও। অথচ পরিকল্পনা প্রণয়ণের ৯ বছরেও সব বাস ২১টি রুটে আনতে পারেনি ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। উত্তর ও দক্ষিণ সিটি বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজির ২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও তা অনেকটা অসম্পূর্ণ।
ছোট গাড়ি কেনা ও পরিবহণে নিরুৎসাহিত করতে রাজধানীতে মানসম্পন্ন বাস চালু ও বিনিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বুয়েটের পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল হক জানালেন, বাসের মান নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে প্রাইভেটকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তার গ্রাহকরাও বাস ব্যবহার করতে পারে। যানজট কমাতে সড়কের পাশাপাশি নৌপথের সুবিধা কাজে লাগানোরও পরামর্শ দিলেন তিনি।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা বলছেন, বেঁচে থাকতে সাবেক মেয়র আনিসুল হক প্রস্তাব দিয়েছিলেন, অল্প সুদে ঋণ নিয়ে কিছু ভালো বাস কেনার। তবে তার মৃত্যুর পর সেটি স্থগিত হয়ে গেছে।
মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়েসহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যানজট অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করছে নগরবাসী।
/এডব্লিউ
Leave a reply