কোটা তো বাতিল, এ নিয়ে প্রশ্নের দরকার কী: প্রধানমন্ত্রী

|

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার বাতিল করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো ধরনের ক্ষোভ থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে বুধবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

কোটা সংস্কার ছাত্রদের বিষয় না বরং সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ আপনাদের যে বোধোদয় হলো, সেটা তো আন্দোলনের সময় দেখিনি। কেউ তো ছাত্রদের থামাতে যাননি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা আন্দোলন শুরু করেছিল তাতে কারা মিশে যাচ্ছে সেটি কেউ খেয়াল করেননি।

স্বাধীনতার পর সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা চিন্তা করে জাতির পিতা কোটা ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছিলেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, কোটা থাকবে কি থাকবে না, এটা তো ছাত্রদের বিষয় না, সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও সরকারি খরচে শিক্ষার্থীরা নামমাত্র মূল্যে পড়ছে। সরকারি খরচে সেখানে উন্নয়ন হচ্ছে, নতুন নতুন বিষয় খোলা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন করে বলছে কোটা চায় না। তো আমি সেটা মেনে নিয়েছি। এখানে ক্ষুব্ধ হওয়ার কিছু নেই।

এই আন্দোলনের অনেক আগ থেকেই কোটার শূন্য পদ মেধাবীদের দিয়ে পূরণ করা হচ্ছিল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে চলতি মাসের ১৫ তারিখে দু’দিনের সফরে সৌদি আরব যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ‘গালফ শিল্ড-১ নামে একটি যৌথ সামরিক মহড়ার কুচকাওয়াজ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখান থেকে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে (সিএইচওজিএম) যোগ দিতে যান যুক্তরাজ্যে। যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে ৮ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ২৩ এপ্রিল দেশে ফেরেন তিনি।

এর তিন দিন পর ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘গ্লোবাল সামিট অন উইমেন’ সম্মেলনে যোগ দিতে অস্ট্রেলিয়া যান। সম্মেলনে নারী নেতৃত্বে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply