বিশ্ববাজারে আরও কিছুদিন বাড়তি থাকবে খাদ্যমূল্য: এফএও

|

বিশ্বজুড়ে খাদ্যের দাম আরও কিছুদিন বাড়তি থাকবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে সব পণ্যের দামই বেড়ে চলেছে। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে বিশ্ব সরবরাহ ব্যবস্থা। ফলে দেশে দেশে মূল্যস্ফীতির মাত্রা বাড়ছে। অয়েল প্রাইস ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ মুহূর্তে মূল্যস্ফীতির হার ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বিশ্বের গম ও ভুট্টার ৩০ ও ২০ শতাংশ আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ গম উৎপাদন কম হবে। এ ছাড়া রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় ইউরোপের অনেক দেশে সার উৎপাদন কমে যাবে। এতে খাদ্য উৎপাদনের ব্যয় বাড়বে। আর সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার প্রভাব তো ইতোমধ্যে পড়েছেই।

এ মুহূর্তে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) প্রণীত খাদ্যমূল্য সূচক ৩২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। বস্তুত, ১৯৯০ সালে এ সূচক প্রণয়ন শুরু হওয়ার পর মার্চে তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে, ১৫৯ দশমিক ৩ পয়েন্ট। গত বছরের মার্চের তুলনায় এ বছরের মার্চে বৈশ্বিক খাদ্যমূল্য বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৬ পয়েন্ট। মার্চ মাসে শুধু গমের দামই বেড়েছে ২০ শতাংশ। ভুট্টা ও বার্লির দাম বেড়েছে যথাক্রমে ১৯ ও ২৭ শতাংশ। উদ্ভিজ্জ তেলের দাম বেড়েছে ২৩ শতাংশ।

চলতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আমেরিকার আবহাওয়া বিরূপ থাকবে। তার সঙ্গে জ্বালানি ও সারের উচ্চমূল্য তো আছেই। সব মিলিয়ে এ বছর খাদ্যমূল্য বাড়তি থাকবে। খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হলে দক্ষিণ ও পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার অনেক দেশে খাদ্যাভাব দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply