মেহেরপুর প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে ফাঁকা গুলি বর্ষণের ঘটনায় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেনকে থানায় নেয়া হয়েছে। তবে এখনো তাকে আটক দেখানো হয় নি। এর আগে, ফাঁকা গুলি বর্ষণের ঘটনায় মোশাররফ হোসেনকে গ্রেফতারের দাবিতে নেতাকর্মীদের সড়ক অবরোধের প্রেক্ষিতে তাকে
থানায় নেয় পুলিশ।
দলীয় নেতাকর্মী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান সিপুসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে মোশাররফ হোসেনের অনুসারীদের মাঝে বাকবিতণ্ডা বাঁধে। গাংনী বাসস্ট্যান্ড
সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেটে মোশাররফ হোসেনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে এ নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেন মোশাররফ হোসেন। গুলি ছোড়ার ঘটনায় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা তার অফিসে হামলা করে।
এরই এক পর্যায়ে নেতাকর্মীরা মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক অবরোধ করে মোশাররফ হোসেনের গ্রেফতারের দাবি জানান। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মোশাররফ হোসেনকে থানা হেফাজতে নিয়ে যায় পুলিশ।
গাংনী থানা ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কেন গুলি করেছে এবং তার অস্ত্রের লাইসেন্স আছে কি না তা যাচাই করার জন্য মোশাররফ হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
এদিকে নেতাকর্মীদের আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল।
এ বিষয়ে এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল বলেন, গাংনীতে বেশ কিছুদিন ধরে নানা রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে মোশাররফ হোসেনসহ তার লোকজন, যাতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই
মোশাররফ হোসেনসহ তার লোকজনকে গ্রেফতার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যহত থাকবে বলে জানান তারা।
/এসএইচ
Leave a reply