শীঘ্রই থামছে না ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, সেনা ও অস্ত্র আরও বাড়িয়েছে মস্কো

|

সহসাই থামার ইঙ্গিত নেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। প্রতিদিনই বাড়ছে হামলার পরিধি। রুশ হামলার কেন্দ্র এখন পূর্বাঞ্চল। কিয়েভ বলছে, ক্রাইমিয়া থেকে দোনেৎস্ক পর্যন্ত স্থল করিডোর তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে রুশ সেনারা। সেনাসদস্য ও অস্ত্র-সরঞ্জাম আরও বাড়িয়েছে মস্কো। অন্যদিকে ক্রেমলিনের দাবি, শান্তি আলোচনায় সমঝোতা হওয়া বিষয়গুলোতেও বারবার অবস্থান পাল্টাচ্ছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দোনবাসের নিয়ন্ত্রণকে ঘিরেই এখন রাশিয়ার মূল পরিকল্পনা। লুহানস্ক ও দোনেৎস্কের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য। পূর্বাঞ্চলে সর্বাত্মক অভিযানের আগেই ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলোকে দুর্বল করে দিতে চাইছে মস্কো।

উত্তরে খারকিভ থেকে দক্ষিণে ওডেসার মিকোলাইভে মুহুর্মুহু চলছে গোলাবর্ষণ। ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর এত বড় হামলার শিকার হয়নি পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভ। এদিকে দক্ষিণ-পূর্বে অবরুদ্ধ বন্দরনগরী মারিওপোলে চলছে ইউক্রেনের সেনাদের প্রাণপন লড়াই।

খোদ ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই জানিয়েছে, উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিক থেকে অগ্রসর হয়ে পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে রুশ বাহিনী। খারকিভ দখল করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণে থাকা ইজিওম শহর দিয়ে সড়ক বা রেলপথে যুদ্ধ সরঞ্জাম পূর্বাঞ্চলের দিকে জড়ো করছে পুতিন বাহিনী। ইউক্রেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মুখপাত্র ওলেক্সান্দার মোতুজিয়ানিক বলছেন, পূর্বাঞ্চলে রুশ বিমানবাহিনী অস্ত্র সরঞ্জাম দেড়গুণ বাড়িয়েছে, সেনাও পুনর্বিন্যাস করেছে। এখন তারা হামলা বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ক্রাইমিয়ার সাথে স্থল করিডোর নিশ্চিত করতে চায় রাশিয়া। এর ফলে ইজিউম ও আশপাশের এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করবে।

এদিকে দফায় দফায় শান্তি আলোচনারও কোনো ফল মেলেনি। ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় যুদ্ধজাহাজ মস্কোভা ধ্বংস, সাথে পশ্চিমাদের দেয়া অস্ত্র সহায়তার জেরে উল্টো হামলা জোরদার করেছে মস্কো। ক্রেমলিন অবশ্য সরাসরি দায় চাপাচ্ছে জেলেনস্কি প্রশাসনের ওপরই। সংস্থাটির মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলছেন, শান্তি আলোচনায় যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে, সেগুলোতেও স্থির নয় ইউক্রেন। যেভাবে আলোচনা চলছে তাতে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য তার।

পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন শহরে দীর্ঘ আট বছর ধরে মস্কো সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে যুদ্ধ চলছে ইউক্রেন সেনাদের। এবার সাথে যোগ হয়েছে রুশ সেনারা। তাদের মোকাবেলায় জেলেনস্কি প্রশাসনও মোতায়েন করেছে সবচেয়ে প্রশিক্ষিতদের শক্তিশালী ব্রিগেড। তাই দোনবাসে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে বলেই শঙ্কা বিশ্লেষকদের।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply