বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সাবেক স্ত্রীর সাথে তার বর্তমান স্বামীর অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে ছাড়ায় মামলা হয়েছে সাবেক স্বামী এনামুল হক মৃধা ও তার ভাই নাসির মৃধার বিরুদ্ধে। পরে গ্রেফতার করা হয় নাসির মৃধাকে।
বোয়ালমারী থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বনচাকী গ্রামের মো. হারেজ মৃধার ছেলে এনামুল মৃধা তার সাবেক স্ত্রী অর্থাৎ ভুক্তভোগী ও তার বর্তমান স্বামীর অন্তরঙ্গ কিছু ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে খোকন মৃধা নামে একটি আইডিতে আপলোড দেয়। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে সাবেক স্বামী এনামুল ও তার বড় ভাই মো.নাসির মৃধার নামে ঢাকা ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০১৮ এর ২২/২৩/২৪/২৫/২৯/৩৫/ ধারায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর সাথে মামলার ১ নং আসামি এনামুল মৃধা ওরফে খোকন মৃধার ২০০৪ সালে বিবাহ হয়। পারিবারিক কলহের জেরে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে ২০২১ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে সিলেট জেলার মো. আবু জহর নামে এক সেনা কর্মকর্তার সাথে পুনরায় বিবাহ হয় ভুক্তভোগীর। পরে কোনো এক সময় ভুক্তভোগীর ভ্যানিটিব্যাগ থেকে তার মোবাইল ফোনটি কৌশলে চুরি করেন সাবেক স্বামী এনামুল ও তার ভাই নাসির। মোবাইল হারিয়ে যাওয়ায় থানায় একটি জিডি করেন তিনি। তবে এরপর মোবাইলে থাকা স্বামী-স্ত্রীর কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় সাবেক স্ত্রীর নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় এনামুল মৃধা।
তবে, সর্বশেষ মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করলে তা দিতে অস্বীকার করেন ভুক্তভোগী। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে সাবেক স্ত্রী ও তার স্বামীর গোপন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয় এনামুল। সেটা মুহূর্তে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেলে আবু জহর নামে ওই সেনা কর্মকর্তা সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হন। পরে স্ত্রীকে ফেলে তুরস্কে পারি জমান তিনি।
বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক ছরোয়ার হোসেন জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়া ২নং আসামি নাসির মৃধাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ফরিদপুর বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে মামলাটির প্রধান আসামি এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।
জেডআই/
Leave a reply