মাস ছয়েক আগেই বিয়ে করেছিলেন। ধরেছিলেন পরিবারের হাল। অথচ সব স্বপ্ন, আশা-ভরসা ধূলিস্মাৎ হয়ে গেল কয়েক মুহূর্তেই। রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মারা গেলেন নাহিদ।
বাবা-মার তিন ছেলের মধ্যে সবার বড় ছিলেন নাহিদ। পরিবারের দায়িত্বভার উঠেছিল তার কাঁধেই। সেই দায়িত্ব সামলানোও শুরু করেছিলেন নিজ প্রচেষ্টায়। অথচ দুই পক্ষের মারামারির মাঝে পড়ে হারিয়ে গেল একটি পরিবারের ভবিষ্যৎ।
এদিকে, নাহিদের মৃত্যু সংবাদ শুনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে এসেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় মামলা করবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত এখনও নিতে পারছেন না নিহত নাহিদের বাবা।
নিহত নাহিদের এক স্বজন জানান, ফোনে খবর পেয়ে মিরপুর থেকে এখানে ছুটে চলে আসছি। শেষ করে দিল ছেলেটারে। ওকে ঘিরে কত স্বপ্ন ছিল। পরিবারের স্বপ্ন ধূলিস্মাৎ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: সিসিটিভি ফুটেজ: দুই চাচাতো ভাইয়ের ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারীদের দ্বন্দ্ব থেকে সংঘাতের শুরু
উল্লেখ্য, নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন নাহিদ। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। তবে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৩৫ এর দিকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। নাহিদ এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালের একটি কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি করতেন।
জেডআই/
Leave a reply