কয়েক হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেয়া হচ্ছে ইন্টারনেট সংযোগ, কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন

|

দেশের ৪১ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনা হচ্ছে। মাত্র একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। তবে প্রকল্পের কার্যকারিতা ও মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-পিইডিপি ফোর এর আওতায় এসব স্কুলগুলোকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইন্টারনেট সংযোগের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এক হাজার বিদ্যালয়ে ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন শুরু করেছে গ্রামীণফোন।

কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি স্কুলে মাসে ৫ এমবিপিএস গতিতে মাত্র ২০ জিবিপিএস ডেটা দেয়া হবে। যা ৫ দিনেই শেষ হয়ে যাবে। অথচ সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা সরকারি বেসরকারি অপরেটরদের অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে তুলনামূলক কম খরচে আনলিমিটেড ব্রডব্যান্ড সার্ভিস দেয়া সম্ভব।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইন্টারনেটের যেটুকু গতি পাওয়া যায় তা আমি যথেষ্ট মনে করি না। প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় কী বিবেচনা করে একটি মোবাইল অপারেটরের ওপর নির্ভর করে এই সংযোগ দিচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী। বলেন, পুরো বিষয়টা পুনর্বিবেচনা করে দেখা দরকার। কারণ ওদের যে চাহিদা তা ব্রডব্যান্ড ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

প্রকল্পের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর দরপত্রের মাধ্যমে ৬১ জেলার ৩৯ হাজার ৭০১টি বিদ্যালয়ে ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে গ্রামীণফোনকে কার্যাদেশ দেয়। শতভাগ সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দেশি উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।

আইএসপিএবি’র সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, কীভাবে তারা (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর) এমন একটি টেন্ডার ওপেন করেছে, যেখানে ব্রডব্যান্ড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে না! ব্রডব্যান্ড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সবই দেশীয় প্রতিষ্ঠান। মোবাইল অপারেটরের ক্ষেত্রে আপনি দেখবেন, ফোরজি কি আমরা এখনও সারা বাংলাদেশে সেবা দিতে পারছি?

প্রসঙ্গত, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবন জেলার ১ হাজার ২৯৯টি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ক্ষেত্রে কোনো দরপত্র প্রস্তব না মেলায়, এটি পুনঃদরপত্রের অপেক্ষায় আছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply