উত্তর কোরিয়ার সংকট সমাধান চেষ্টায় ভূমিকা রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পের বিশাল রিপাবলিকান সমর্থকদের মধ্যে ১৮ জনের একটি গ্রুপ নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে একটি চিঠি দিয়ে ট্রাম্পকে পরবর্তী নোবেল পুরস্কার দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।-খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের।
তিনি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন বলে তাকে শান্তিতে নোবেল দেয়া উচিত বলে মনে করছেন ট্রাম্প সমর্থকরা।
ইন্ডিয়ানার রিপাবলিকান সিনেটর লিউক মেসারের নেতৃত্বে বুধবার নরওয়ের নোবেল কমিটির কাছে চিঠিটি পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, কয়েক দশক থেকে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলা যুদ্ধে ইতি টেনেছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া পিয়ংইয়ংয়ের একনায়ক কিমের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারে লাগাম পরিয়েছেন তিনি।
এই ঐতিহাসিক অবদান ও বিশ্বে শান্তি স্থাপন করার জন্য ২০১৯ সালের নোবেল পুরস্কারের প্রবল দাবিদার ট্রাম্প।
আগেই ট্রাম্পের সমর্থনে মত দিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে সেই পুরস্কারের দাবিদার আরও অনেকেই আছেন।
এখনও পর্যন্ত নোবেল কমিটির কাছে ৩৩০ জন দাবিদারের নাম জমা পড়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকেই নোবেল জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। তা নিয়ে চলছে জল্পনাও।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনয়ন নিয়ে ইতিমধ্যে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। জাতিসংঘসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার বিরুদ্ধে ক্রমাগত তোপ দেগেছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনৈতিক অ্যারন ডেভিড বলেন, দৃশ্যটার মধ্যে একটা কাল্পনিক বিষয় রয়েছে। আর এমন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা কাউকে নোবেল দেয়া নিয়ে কথা বলা এক ধরনের অপরিপক্বতা ছাড়া কিছু হতে পারে না।
তিনি বলেন, যদি কূটনীতি সঠিক পথে এগোয়, তবে সেক্ষেত্রে বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পারে।
এ ছাড়া নোবেল নিয়ে যেসব কথা বাজারে চলতি আছে, তাতে উত্তর কোরিয়া সংকট সমাধানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভূমিকায় অস্পষ্টতা রয়ে গেছে বলে বলা হচ্ছে।
Leave a reply