‘অসৎ উদ্দেশ্য আছে এমন কিছু এনজিওর তথ্য দিয়ে তৈরি মানবাধিকার রিপোর্ট’

|

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি।

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্ট তৈরি হয় বাংলাদেশের কিছু এনজিওর তথ্য দিয়ে, যাদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে। এমনটি জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সাথে আলাপকালে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। তবে একটি বড় রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যেই বলে, তারা নির্বাচন করবে না। তাই তাদের নির্বাচনে নিয়ে আসা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্ট প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওরা আমাদের মিডিয়া থেকে খবর পায়। আর এনজিও থেকেও পায়। এনজিওগুলো তো সব সময়ই বলে, বাংলাদেশ খারাপ। আর এক দল চায় বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয়। এজন্য দেশের খারাপ চিত্র তুলে ধরতে পারলে তারা খুব খুশি হয়। তাছাড়া অনেক বাংলাদেশিই যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে চাকরি করেন। তারাই এসব প্রতিবেদনের প্রাথমিক খসড়া তৈরি করেন। তারাই বাংলাদেশের দোষ খুঁজে খুঁজে বের করেন।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের ধর্মের প্রতি আঘাত হানার চেষ্টাও হয়েছিল। এমনটি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, সেখানে সমকামিতার স্বীকৃতিকে মানবাধিকার হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা বলেছি, মানবাধিকার বলতে আমরা খাদ্য, আশ্রয়, শিক্ষা, চিকিৎসার অধিকারকে বুঝি।

প্রসঙ্গত, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর সারা বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাতে। এতে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও তুলে ধরা হয়। বলা হয়, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিচার বহির্ভূত হত্যা ও গুম খুনের সাথে জড়িত থাকলেও জবাবদিহিতার মুখোমুখি হয় না। হয় না সেসবের তদন্তও। উল্টো হয়রানি করা হয় ভুক্তভোগীর পরিবারকে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় এই মানবাধিকার রিপোর্টে।

আরও পড়ুন: ‘মানবাধিকার রিপোর্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ’

এম ই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply