মেগাপ্রকল্প ও মেরামতের চাপে মহাসড়ক, বাড়ি ফেরা মানুষের ভোগান্তি

|

ঈদের আগেই বিভিন্ন মহাসড়কে যাত্রীর চিরাচরিত ভোগান্তি শুরু হয়েছে। যানজটে পড়ে অতিষ্ঠ যাত্রীরা। বড় বড় মেগাপ্রকল্প ও মেরামতের চাপ সামলাতে হিমশিম অবস্থা মহাসড়কে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার রীতিমতো ঢল নামবে ঘরমুখো মানুষের। বৈজ্ঞানিক উপায়ে পরিবহন পরিকল্পনা না করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটারও আশঙ্কা তাদের।

মানুষ বলছেন, দশ মিনিটের রাস্তা পার হতে কখনও কখনও তিন থেকে চার ঘণ্টাও লেগে যায়। রাস্তার সাধারণ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি সংস্কারের উদ্যোগ এই ভোগান্তি বাড়িয়েছে আরও কয়েকগুণ।

লকডাউন ও করোনা ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় বাধ সেধেছে টানা দুবছর। এখন কমেছে সংক্রমণ। স্বাভাবিক হয়েছে জীবনযাত্রা। তাই বাড়ি ফেরা মানুষের অস্বাভাবিক ঢল নামার আশঙ্কা করছেন সড়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সামসুল হক। তিনি বলছেন, মোড়গুলো একই তলে থাকার কারণে যানজট বেড়েছে। মোড়গুলো উড়ালসড়কের মাধ্যমে বাইপাস করা গেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের পুরো ক্যাপাসিটি ব্যবহার করা যাবে বলে মতামত তার।

ঢাকা ছাড়তে এখনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় উত্তরঞ্চলের যাত্রীদের। টঙ্গী থেকে চৌরাস্তা সড়কে পিচ লাগলেও বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণযজ্ঞ এখানে যানজটের অন্যতম বড় কারণ।

এছাড়া এমনিতেই সরু মহাসড়ক, তার মধ্যে চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। যানবাহনের গতির তারতম্যের ফলেও সড়কে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় প্রায়ই। ঢাকা থেকে সিলেট, চট্টগ্রাম বা আরিচা মহাসড়কের কোনোটিই সংকটমুক্ত নয়। কোথাও মেরামত, কোথাও পুরানো চতুর্মুখী মোড় যাত্রীভোগান্তির কারণ হয়ে উঠেছে।

তাই ঈদযাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে একসাথে ঢল না বাড়িয়ে আগেভাগে বাড়ি ফেরার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply