কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কারণেই হয়তো হাওরের পানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী

|

বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হাওরের পানি ঢুকছে ফসলি জমিতে।

অলওয়েদার সড়ক’সহ নানা কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়েই নামছে না হাওরের ঢলের পানি। উজানে ৪ হাজার কিউমেক পানি ঢুকলেও মেঘনায় পড়ছে মাত্র ১ হাজার কিউমেক। অবশিষ্ট পানিই চাপ বাড়াচ্ছে হাওরে, এমন তথ্য জানাচ্ছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তবে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সঙ্কট নিরসনে সমীক্ষা চলছে। সন্দেহ, কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের ত্রুটির কারণে নামছে না পানি।

দেশে পাহাড়ি দেখা দিয়েছে আগাম বন্যা। গত ২২ দিনেও নামেনি পানি। কোথাও কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঁধ। ফলে তলিয়েছে বিস্তীর্ণ ফসল। তবে কেনো নামছে না হাওরের পানি?

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, নানা কারণে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে হাওরের পানি। অলওয়েদার সড়কও এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে, এতে পানি নামছে না। চাপ তৈরি হচ্ছে ফসলরক্ষা বাঁধে। অথচ, ১০ বছর আগেও এই চিত্র ছিল ভিন্ন।

বন্য পূর্বাভাস ও সতর্কীকরন কেন্দ্রের (এফএফডব্লিউসি) নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, অলওয়েদার সড়ক যেখানে হয়েছে, আগে সেখান দিয়ে পানি চলাচল করতো বাধা ছাড়াই। এখন সড়ক হওয়ায় ছোট ছোট আউটলেট করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়েই পানি যায়। তবে পুরো জায়গা দিয়ে আগের মতো যেতে পারছে না বলেই চাপ বাড়ছে।

এই প্রকৌশলীর মতে, সুরমা হয়ে ধনু বাউলাই নদী দিয়ে আসা পানির তিন ভাগের মাত্র এক ভাগ পড়ছে মেঘনায়। বাকিটা থেকে যাচ্ছে হাওরে।

এসব তথ্য রয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়েও। পানি সম্পাদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানিয়েছেন, সংকট নিরসনে কাজ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তিনি বলেন, এরই মধ্যে তদন্ত করার জন্য টিম পাঠানো হয়েছে, তারা বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সন্দেহ করছি বিভিন্ন স্থানে যে উন্নয়ন কাজ হয়েছে সেখানো কোনো একটি স্থানে হয়তো সমস্যা হয়েছে। সেটি নিরূপণ করা গেলেই সমস্যার সমাধানে কাজ করা হবে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply