ব্যক্তিগত ভবন কিংবা রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো- সবক্ষেত্রেই রাজশাহীতে চলছে নির্মাণযজ্ঞ। নির্মাণ সামগ্রীর দামও বেড়েছে। অথচ একই সময়ে রাজশাহীতে আগের বছরের প্রায় অর্ধেক মূল্যে ইজারা দেয়া হয়েছে ৪টি বালুমহাল। তুলনামূলক হিসাব বলছে, এ কারণে এ খাত থেকে এবার রাষ্ট্র প্রায় ১০ কোটি টাকা কম রাজস্ব পাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কোনো কথাই বলতে রাজি নয়। তবে বিশেষ কোনো সিন্ডিকেটকে সুবিধা পাইয়ে দিতে এই ব্যবস্থা কিনা, তা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।
এ বছর রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১ হাজার ৮০ কোটি টাকার বাজেটের সিংহভাগেই অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ। ফলে নির্মাণযজ্ঞ চলছে শহরজুড়ে। পাড়া-মহল্লায় বহুতল ভবন তৈরির প্রবণতাও বেড়েছে। ফলে খানিক পরপরই পুরনো ভবনের জায়গায় উঠছে অট্টালিকা। ফাঁকা জমিতেও চলছে নির্মাণকাজ।
নির্মাণমুখর সময়ে সংশ্লিষ্টরা যখন বর্ধিত দাম নিয়ে হিসাব-নিকাশ করছেন, তখন অন্যতম প্রধান নির্মাণসামগ্রী বালু উত্তোলনের ইজারামূল্য অর্ধেকে নেমেছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ চারটি বালুমহাল আগের বছরের চেয়ে এ বছর প্রায় অর্ধেক মূল্যে ইজারা দেয়া হয়েছে। এর আগে ১৪২৬ ও ১৪২৭ বঙ্গাব্দে আরও কম মূল্যে অধিকসংখ্যক বালুমহাল ইজারা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গত বছর ১৪২৮ বঙ্গাব্দের ইজারামূল্য রেকর্ড ছাড়ায়। ঠিক তার পরের বছরই এই খাতে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব অর্ধেকে নামলো।
বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কোনোভাবেই রাজি নয় জেলা প্রশাসন। তবে সিন্ডিকেটের কারণে রাষ্ট্রের রাজস্ব কমলো কিনা, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।
উন্নয়নকর্মী সুব্রত পালের মতে, এটি ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট। এখন যদি প্রশাসন সিন্ডিকেটকে ভয় পায়, তাহলে সেটি সবার সামনে পরিষ্কার করে বলা দরকার বলেও মনে করেন তিনি। এদিকে, চড়া মূল্যে মানুষ বালু কিনলেও সরকার এ ক্ষেত্রে রাজস্ব হারাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহীর সুশাসনের জন্য নাগরিকের সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন।
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে এবারের ইজারা দেয়া চার বালুমহালের দুটি গোদাগাড়ী, একটি পবা ও একটি চারঘাট উপজেলায়।
এসজেড/
Leave a reply