অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে চার লক্ষ টাকার মালামাল হারালো পরিবার

|

রংপুর ব্যুরো:

সংঘবব্ধ অজ্ঞানপার্টি কৌশল বদলিয়ে রংপুর অঞ্চলের পল্লী জনপদগুলোর বাড়ি টার্গেট করে সম্পদ লুটে নিয়ে যাচ্ছে। শনিবার (২৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে রংপুরের বদরগঞ্জের একটি বাড়িতে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে ওই বাড়ির স্বর্নালংকারসহ প্রায় চারলাখ টাকার জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় এই পার্টি। রোববার সকালে ওই বাড়ির সদস্যদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে প্রতিবেশীরা। ওই গ্রামে দেড় মাস আগেও একই কায়দায় দুটি বাড়িতে লুটের ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা মো. রাকিব হাসান দলু শাহ নামে একজন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সকলের অজান্তে কৌশলে কাচাবাড়ি হিন্দু পাড়ার চন্দন দাসের বাড়িতে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। এরপর রান্নাঘরে রাখা খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। রাতে বাড়ির লোকজন ওই খাবার খেয়ে একেক করে অচেতন হয়ে যায়। সেই সুযোগে দুর্বৃত্তরা বাড়ির জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে আলমিরা থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণলংকারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। বাড়ির সদস্যদের বক্তব্যমতে প্রায় ৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি আরও জানান, সকালে প্রতিবেশীরা তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে। এখনও অনেক সদস্য অচেতন আছে। সংবাদ পেয়ে আমি পুলিশসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

ঘটনার ভুক্তভোগী চন্দন দাসের স্ত্রী দীপা রানী দাস বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার মা’সহ কয়েকজন বেড়াতে এসেছিল। সেজন্য শনিবার তাদের জন্য ভালো রান্না-বান্না করেছিলাম। তারপর কে বা কারা ওই খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে দেয়। শনিবার আমরা রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ার আগেই অজ্ঞান হয়ে যাই। সারারাত আর কেউ কিছু টের পায়নি। সকালে আশপাশের লোকজন আমাদের ঘুম থেকে ডেকে তোলে। পরে দেখি টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল নাই।

বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বিট অফিসারসহ পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ ভুক্তেভোগী এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে প্রাথমিক তদন্ত করেছে। এরইমধ্যে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলেই আমরা আইনগতভাবে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply