আগামী সংসদ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

|

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। ফাইল ছবি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না বলে স্পষ্ট করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে নির্বাচনে এদেশের জনগণের মতামত প্রতিফলিত হবে বলে আশাবাদী তিনি। আর সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ছাড়া র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই বলেও সাফ জানিয়েছেন পশ্চিমা এই কূটনীতিক।

রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও অর্থনীতির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অগ্রাধিকার বিষয়ক সেমিনারে পিটার ডি হাস এসব কথা জানান। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের মতো মানবাধিকার রক্ষায়ও কঠোর থাকতে হবে র‍্যাবকে। স্পষ্ট করে বলছি, র‍্যাব ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ খুব জরুরি। এর পাশাপাশি জবাবদিহিতা আবশ্যক। এ দুটি করতে না পারলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের দুই উদ্যোগ আকসা ও জিসোমিয়া নিয়েও কথা বলেছেন পিটার ডি হাস। এসব উদ্যোগ নিয়ে ভুল ধারণা আছে দাবি করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ৭০টির বেশি দেশের সাথে সই হয়েছে এসব চুক্তি। এগুলো কারিগরি চুক্তি। কোনোভাবেই তা জোট বা সামরিক চুক্তির পর্যায়ে পড়ে না। এমনকি বৃহত্তর অর্থেও অস্পষ্ট কোনো প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তিও না। আমরা বলছি এগুলো ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর উপাদান, যা আপনাদের সামরিক শক্তিও বাড়াবে।

শ্রম অধিকার নিশ্চিত করতে না পারায় বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা ফেরত পায়নি, এই সেমিনারে তা-ও আরেকবার স্মরণ করিয়ে দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

এ আলোচনায় অংশ নিয়ে র‍্যাব মহাপরিচালক প্রত্যাশা করেন, আগের মতোই দেশের এই এলিট ফোর্সের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।

র‍্যাবের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো সন্ত্রাসবাদ দমন ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আমাদেরও অগ্রাধিকার। মানবাধিকার সমুন্নত রাখার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক আরো উচ্চতায় নিতে চাই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ আলোচনায় নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাব আমরা। আমরাও পরিস্থিতির উন্নয়ন চাই। কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে, আপনাদের পরামর্শ নিব।

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, মুক্তমত ও স্বাধীন গণমাধ্যমও গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply