নুরুল হাসান সোহানের বীরত্বে আবাহনীকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ১ ম্যাচ হাতে রেখেই প্রথমবারের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) শিরোপা ঘরে তুললো শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। পতন হয় টানা ৩ মৌসুম ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সিংহাসন দখলে রাখা আবাহনী লিমিটেডের। ফলে বিপিএলের পর মৌসুমে আরও একটা শিরোপা উঠলো আধিনায়ক ইমরুল হায়েসের হাতে।
ডিপিএলের আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে শিরোপা হাতে তুলেছিলেন ইমরুল কায়েস।
আবাহনীর দেয়া ২৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লেতে সাইফ হাসান ও সৈকত আলিকে হারিয়ে চাপে পড়ে শিরোপা প্রত্যাশী শেখ জামাল। থিতু হয়েও ১৫ রানে সাইফ হাসান, ১৭ রানে সৈকত আলি, ১৫ রানে মুশফিক, আর দলীয় অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ইনিংস থামে ১৫ রানে। থিতু হতে পারেননি রবিউল ইসলামও। ফলে ৭৮ রানে ৫ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে শেখ জামাল। তবে স্রোতের বিপরীতে ৭২ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেন নুরুল হাসান সোহান-পারভেজ রসুল জুটি। ৩৩ রানে রসুলকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু দেন শান্ত।
কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়া শেখ জামালকে পথ দেখায় সোহান-জিয়া জুটি। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে সোহান তুলে নেন ফিফটি। ফিনিশারের ভূমিকায় আবারও সোহান। তার ১০০ স্ট্রাইকরেটে হার না মানা ৮১ রান আর জিয়াউর রহমানের ৩৩ রানে ভর করে ১৮ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শেখ জামাল। ১৪ ম্যাচে ১২ জয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে শেখ জামাল।
এর আগে, সকালে হোম অব ক্রিকেটে নিয়মরক্ষার ম্যাচে মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় আবাহনী। পারভেজ রসুলের ঘূর্ণিতে শুরুতেই বিদায় নেন নাঈম শেখ। আর জিয়াউর রহমানের মিডিয়াম পেইসে শুরুটা ভালো করতে পারেননি টেস্ট স্কোয়াডে থাকা লিটন দাস ও নাজমুল শান্ত। ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আকাশি-নীলরা।
তৌহিদ হৃদয় ও আফিফের ৫০ রানের জুটিতে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেয় খালেদ মাহমুদের শিষ্যরা। আফিফ ২৯ আর ৫৩ রানে ফেরেন হৃদয়। ১৫৪ রানে ৬ উইকেট হারানো আবাহনীর হয়ে শেষ দিকে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৩৩ বলে ৫ ছক্কায় শেখ জামাল বোলারদের সীমানার বাইরে আছড়ে ফেলে সাইফউদ্দিন করেন অপরাজিত ৪৪ রান। আর জাকির আলির দায়িত্বশীল অপরাজিত ৪৭ রানে ভর করে ২২৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় আবাহনী।
জেডআই/
Leave a reply