স্টাফ করেসপনডেন্ট, মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে শিখা আক্তার (২৭) নামে এক গর্ভবতী নারীকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী আরেক নারীর বিরুদ্ধে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার ৫ মাসের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গর্ভপাত হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত রুনা খন্দকারকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ। আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় তাকে হাজতে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে (২৬ এপ্রিল) এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে অভিযুক্ত রুনা খন্দকারকে (৩৭) গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃত রুনা খন্দকার উপজেলার ছোট বোয়ালী গ্রামের হারুন অর রশিদ জুয়েলের স্ত্রী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিবালয় নতুন পাড়ার সুরুজ্জামান সুমনের স্ত্রী শিখা আক্তারকে পাশ্ববর্তী রুনা খন্দকার ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দেন। এ নিয়ে ভুক্তভোগী শিখা তাকে গালমন্দ করে।
এর জেরে, সোমবার সকালে শিখার বাড়িতে ঢুকে রুনা খন্দকার তাকে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে শিখা অসুস্থ হয়ে পড়লে আত্মীয়-স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে দিকে শিখার পেটে থাকা পাঁচ মাসের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গর্ভপাত ঘটে।
ভুক্তভোগী শিখার শ্বশুর আমীর শেখ বলেন, রুনা খন্দকার আমার ছেলের বউকে মারধর করে। এ সময় পেটে আঘাত করার কারণে পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গিয়ে গর্ভপাত হয়েছে। আমার পূত্রবধূর শারীরিক অবস্থা এখন খুব খারাপ।
শিবালয় থানার ওসি মো. শাহিন বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামি রুনা খন্দকারকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে তোলা হয়। পরে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মানিকগঞ্জ সদর থানার তত্ত্বাবধানে গর্ভপাতকৃত বাচ্চার ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
/এসএইচ
Leave a reply