থামছেই না রোহিঙ্গাদের স্রোত। স্থলপথে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সংখ্যা কমলেও নাফ নদী পেরিয়ে প্রতিদিনই আসছেন দেশহারা মানুষগুলো। জীবন বাঁচাতে প্রিয়জনকে রেখে, কেউবা আবার প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলে চলে এসেছেন এ দেশে।
প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওয়ানা দেন সন্তানসম্ভবা রিজু খাতুন। যাত্রার দুইদিন পরই পৃথিবীতে আসে তার শিশু, জন্মই যার শরণার্থী হয়ে। নাফ নদী পেরিয়ে ৬ দিনের কষ্টকর পথ অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত পৌঁছেছেন শাহপরীর দ্বীপে। সন্তানের মুখ দেখা হল না বাবার। কারণ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেছে তার।
এমন নিষ্ঠুরতার স্মৃতি নিয়ে এখনও বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন রোহিঙ্গারা। অন্য সব সীমান্ত দিয়ে আসা অনেকটাই বন্ধ হলেও নাফ নদী পাড়ি দিয়ে এখনও আসছে মানুষের ঢল। নাফ পেরিয়ে শাহপরী দ্বীপ, সেখান থেকে টেকনাফ তারপর উখিয়ার ক্যাম্পগুলোতে ঠিকানা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। এপারে আসা মানুষগুলো জানান, এখনও প্রতিদিন রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন এলাকায় নির্যাতন চালাচ্ছে সেনারা।
থেমে নেই ঘর-বাড়ি পোড়ানো। টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ থেকেই দেখা যাচ্ছে ঐ পাড়ের ধোঁয়ার কুন্ডলী।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply