স্টাফ করেসপনডেন্ট, চাঁদপুর:
হাইম চরে মেঘনার দুর্গমচরে প্রায় সাড়ে ৪৮ একর সরকারী খাস জমি আত্মসাতের অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ভাই ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ (টিপু)সহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এই মামলার বাদী হয়েছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। এতে শিক্ষামন্ত্রীর বড়ভাই ডা. জাওয়াদুর রহিম টিপু ছাড়া আরও ২৪ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। বিবাদীরা হচ্ছেন, হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন পাটোয়ারী, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন সরদারসহ মোট ২৫ জন। বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ৩১ মে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করলেও মামলা নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সরকারী কৌশলী আব্দুর রহমান।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, হাইমচর উপজেলার মেঘনার দূর্গমচরের সোনাপুর-তাজপুর প্রকাশ্যে বাহেরচর মৌজায় বিগত ১৯৫০ সালে চর জেগে ওঠে। যা পরে পয়স্তি ভূমি হিসেবে চিহ্নিত হয়। সরকারী খাস জমি হওয়ায় এ.বি ও সি ক্যাটাগরি করে তা স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ইজারা প্রদান করা হয়। কিন্তু এক নাম্বার বিবাদীসহ অন্যরা ভুয়া ও জাল দলিল তৈরি করে সেখানে প্রায় সাড়ে ৪৮ একর জমি হাতিয়ে নেন। যা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের নজরে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে সরকারী জমি উদ্ধারে এ দেওয়ানি মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে, অভিযোগ আমলে নিয়ে চাঁদপুর সদর জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আগামী ৩১ মে তা শুনানির জন্য ধার্য করেন।
অন্যদিকে, এ অভিযোগের প্রধান বিবাদী ডা. জাওয়াদুর রহিম টিপু বর্তমানে পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। তার সঙ্গে বোন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও রয়েছেন। প্রসঙ্গত, ডা. জাওয়াদুর রহিম টিপু চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, সরকারের পক্ষে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মূলত সরকারি খাস জমির মালিক জেলা প্রশাসক। সেজন্য আমরা খাস জমি উদ্ধার করতে এই মামলাটি দায়ের করেছি। যে খাস জমির দলিল করা হয়েছে সেগুলো উদ্ধারের জন্যই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
/এসএইচ
Leave a reply