ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) রাতে প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে সদর উপজেলায় ধান, ভুট্টা, সবজি মৌসুমি ফল আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ঝড়ের কবলে বালিয়াডাঙ্গী ও রাণীশংকৈলের বেশকিছু এলাকায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে, ছিড়ে গিয়েছে বৈদ্যুতিক তার। শুক্রবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সদর উপজেলা আকচা কাজি পাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মোসলেম উদ্দীন জানান, তিনি স্থানীয় এক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দুই বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছিলেন। এই কালবৈশাখী তাণ্ডবে তার ভুট্টাগাছ মাটিতে নুয়ে গিয়েছে। এ অবস্থায় উৎপাদন খরচ ওঠানো নিয়ে ও ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।
একই উপজেলার সালান্দর এলাকার সফিকুল ইসলাম জানান, তার প্রায় তিন বিঘা জমির ধান ও চার বিঘা জমির ভুট্টাগাছ নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও একন পর্যন্ত কেউ দেখতে আসেনি বলে অভিযোগ তার। এই ঝড়ে তার প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবু হোসেন জানান, বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ মিলিমিটার। বেশ কিছু স্থানে ঝড়ের কারণে ভুট্টা, সবজি ও মৌসুমি ফলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাঠকর্মীরা সরজমিনে গিয়ে তথ্য সংগ্রহের পর ক্ষতির পরিমাণ বলা সম্ভব হবে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামশুজ্জামান জানান, তিনি সরজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে ইউনিয়ন পর্যায়ে মাঠকর্মীরা তালিকা তৈরি করছেন। ক্ষতিগ্রস্থদের অবশ্যই সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।
এসজেড/
Leave a reply