প্রেমের টানে ও বিয়ের দাবিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা জামালপুরের এক তরুণী বরগুনায় এসে গত তিনদিন ধরে প্রেমিক মাহমুদুল হাসানের বাসার দরজার সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালি বাজার সংলগ্ন কাঠপট্টি এলাকায় প্রেমিকের বাসার সামনে তাকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। তবে ওই তরুণী আসার পর বাসা ছেড়ে পরিবারসহ আত্মগোপনে আছেন তার প্রেমিক।
ওই তরুণী জানান, জামালপুরের সরিষাবাড়িতে তার গ্রামের বাড়ি। ঢাকার উত্তরায় থাকেন এবং সেখানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়েন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিটি)-তে সিভিল প্রকৌশল বিভাগে অধ্যায়ন করা প্রেমিক মাহমুদুল হাসানও উত্তরায় থেকে পড়াশোনা করতেন। সেখানেই দুজনের পরিচয় থেকে প্রেম।
প্রেমিকার অভিযোগ, তিন বছর প্রেমের পর সম্প্রতি বিয়ের কথা বললে নানা অযুহাতে তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন মাহমুদুল। রোজার শুরুতে মাহমুদুল গ্রামের বাড়ি বরগুনায় চলে আসেন। বাড়িতে আসার পর তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, গত চার-পাঁচদিন তিনি মোবাইল বন্ধ করে রেখেছেন।
এরপরই ওই তরুণী বৃহষ্পতিবার সকালে বরগুনায় গিয়ে হাজির হন এবং চান্দখালি বাজার সংলগ্ন মাহমুদুলের বাসার দরজার সামনে অবস্থান নেন। কিন্ত তিনি আসার পরপরই মাহমুদুল ও তার পরিবার বাসা তালা দিয়ে গা ঢাকা দেয়।
তবে ওই তরুণীকে পুলিশের তত্ত্বাবধানে আশ্রয় ও নিরাপত্তা দিয়ে দেখভাল করছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুণ অর রশিদ সোনা মোল্লা।
ওই তরুণী আরও জানান, একই এলাকার মোমিনুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়েছিল। ছয়মাস আগে স্বামীর সাথে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। মাহমুদুলের সাথে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই স্বামীর সাথে তার বিচ্ছেদ হয়। কিন্ত বিচ্ছেদের পর প্রেমিক মাহমুদুল সম্পর্ক অস্বীকার করে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এখন বাধ্য হয়েই বাড়িতে এসেছেন এবং মাহমুদুলকে বিয়ে করে এখানেই থাকতে চান।
শনিবার দুপুরে মাহমুদুল হাসানের বাসা তালাবন্ধ ও ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বেতাগী থানার ওসি মো.শাহ আলম হাওলাদার বলেন, তরুণী যদি কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে চায় তাহলে তাকে আমরা সাহায্য করব। উভয়পক্ষের সাথে সমঝোতা করার পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে।
জেডআই/
Leave a reply