করোনায় বিপর্যস্ত ব্রাজিলের সাম্বা শিল্প

|

ব্রাজিলের সাম্বা উৎসব।

করোনার কারণে বিপর্যস্ত ব্রাজিলের সাম্বা শিল্প। সদ্য সমাপ্ত এই কার্নিভালে মেলেনি আশানুরূপ সাড়া। ২ বছর কার্নিভাল স্থগিত থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে অনেক সাম্বা স্কুল। পর্যটকদের উপস্থিতিও ছিল আগের আয়োজনগুলোর চেয়ে কম। আয়োজকরা বলছেন, মহামারির ধাক্কা সামলে উঠতে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত।

ব্রাজিলের আলোচিত সাম্বা স্কুলগুলোর মধ্যে অন্যতম মোসিদেদ অ্যালগ্রে। ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সাম্বা কার্নিভালে টানা সেরার স্বীকৃতি পায় স্কুলটি। তবে পরিস্থিতি এখন বদলে গেছে করোনার কারণে। টানা ২ বছর কার্নিভাল স্থগিত থাকায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম স্কুলটি।

এই স্কুলের সাম্বা দলের প্রধান সোলানজে ক্রুজ বলেন, আমার জমানো যা অর্থ ছিল গত দুই বছরে তার ৯০ শতাংশই খরচ হয়ে গেছে। এবার খুব অল্প অর্থই লগ্নি করেছি। মনে হচ্ছে সেটাাও উঠে আসবে না।

ব্রাজিলের পর্যটন আয়ের অন্যতম উৎস এই সাম্বা কার্নিভাল। ২০১৯ সালে প্রায় ১৭ লাখ বিদেশি ভ্রমণ করেন দেশটিতে শুধু কার্নিভ্যালে অংশ নিতে। তবে মহামারির কারণে আয়োজন স্থগিত থাকায়, বন্ধ হয়ে গেছে আয়।

এই কার্নিভালের কস্টিউম ডিজাইনার ফ্যাবিসন বলেন, এরআগে প্রতি বছর আমরা ৩০ থেকে ৪০ হাজার ডলারের অর্ডারের পেতাম। কিন্তু এবার ২০ ডলারের অর্ডারও পাইনি। মনে হয় না ২০২৩ সালের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

প্রশাসন বলছে, সাম্বা আয়োজনে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা হয় ব্রাজিলে। প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত এই আয়োজনে। ফ্যাবিসন বলেন, আগে আমরা সরাসরি সাম্বা আয়োজকদের মাধ্যমে পোশাক ডিজাইনের অর্ডার পেতাম। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এখন বিচ্ছিন্নভাবে অর্ডার পাচ্ছি। এ অবস্থায় সাম্বা কার্নিভালের সাথে সংশ্লিষ্টরা চাইছেন বিশেষ সহায়তা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply