দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের প্রবেশপথ মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে আজও ঘরমুখো মানুষের ঢল। এই ঘাটে শনিবার রাত থেকেই যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। সকাল থেকে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা কেউ কেউ ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে পারেননি। একজন জানালেন, গতকাল রাত আড়াইটা থেকে আজ সকাল ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে পারেননি তিনি।
ঘটে ফেরির জন্য অপেক্ষমান ওই চালক আরও জানালেন, বারবার বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরের ভোগান্তি পেরিয়েও ফেরিতে জায়গা পাননি তিনি। তার অভিযোগ, ঘাটে দায়িত্বশীলরা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন গাড়িকে আগে ফেরিতে তুলে দিচ্ছে। এজন্য তারা দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ তার।
আরেকজন চালক জানালেন, গতকাল রাত ১টা থেকে অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে পারেননি তিনি। ঘাটের লঞ্চ ও স্পিডবোটেও যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ফেরির সংখ্যা কম হওয়ার পাশাপাশি যাত্রীর চাপ বেশি হওয়ায়ই এমন ভোগান্তি বলে দাবি তার। তবে এই চালক জানালেন, এবার মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা ব্যবস্থাপনা থাকায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি।
প্রাইভেট কারের আরও একজন চালক বলছেন, ভোর চারটায় ঘাটে এসেও ফেরিতে উঠতে পারেননি তিনি। তার অভিযোগ ভিআইপি গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সগুলো পার হয়ে গেলেও সাধারণ গাড়িগুলো পার হতে পারছে না।
এর মধ্যে ঘাটে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে সাধ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছেন তারা। ফেরি স্বল্পতার কথা স্বীকার করে তারা বলছেন, যে কয়টা ফেরি রয়েছে সেগুলোতে যেন শৃঙ্খলা রক্ষা করে পারাপার সম্ভব হয়, তারা সে ব্যাপারে খেয়াল রাখছেন।
এবার শিমুলিয়ায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের জন্য আলাদা আলাদা ঘাট নির্ধারণ করে দেয়ায় যাত্রী ভোগান্তি কমেছে বলে জানাচ্ছেন যাত্রী এবং দায়িত্বরত কর্মকর্তারাও।
প্রসঙ্গত, এই নৌপথে ফেরিতে ভারি যানবাহন পারাপার নিষিদ্ধ থাকায় হালকা যানবাহন ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করছেন।
/এডব্লিউ
Leave a reply