ফরিদপুর প্রতিনিধি:
পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাঁধা দেয়ার মামলায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার রেজাউর রহমান চয়নকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চয়ন সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।
রোববার (১ মার্চ) সকালে ফরিদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শনিবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর শহরের নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সালথা থানায় পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয় বলেও জানান তিনি।
সালথা থানার অফিসার ইন চার্জ শেখ মো. সাদী জানান, গত ১১ এপ্রিল সালথা উপজেলার গট্টি ও আটগর দুই ইউনিয়নবাসী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুই পক্ষ রাত ৯টার দিকে গট্টির সিংপ্রতাপ গ্রামে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশের এসআই মোজাম্মেলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। এসময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। ওই ঘটনায় ১৪ এপ্রিল থানায় মামলা হয়। মামলার তদন্তে চয়নের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আটক চয়নকে আজ বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুরের সালথা এলাকায় গ্রাম্য মোড়লদের ‘কাইজ্জা’ সংস্কৃতি বিদ্যমান। যা নিয়ে যমুনা টেলিভিশন সম্প্রতি একাধিক সংবাদ প্রচার করে। গ্রেফতার চয়ন গট্টি ইউনিয়নের একটি গ্রাম্য দলের নেতৃত্ব দিতেন। তিনি গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী বিজয়ী হন। এরপর থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী খন্দকার রেজাউর রহমান চয়ন ও আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী খোরশেদ খান এক হয়ে গট্টি ইউনিয়নের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গ্রামে উস্কানি দিয়ে সংঘর্ষ ঘটিয়ে তাতে নেতৃত্ব দিতেন।
রমযান মাসের শুরু থেকেই এলাকায় বেশ কয়েকটি সংঘর্ষ ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বেশ কয়েকজনকে আটক করে। পরে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গট্টিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে।
/এডব্লিউ
Leave a reply