করোনার দু’বছরের দুভোর্গ কিছুটা কাটিয়ে ওঠার পর কুড়িগ্রামে আকস্মিক বন্যা। হাতে টাকা নেই, তাই সাধ্য নেই নিজেদের কিংবা পরিবারের শিশুদের নতুন জামা, ভালো খাবার কিনে দেয়ার। ঈদ উদযাপনে শপিং মলে, বাজারঘাটে যখন উপচে পড়া ভিড়, ঠিক তখনই উৎসবের দিনটি বিবর্ণ চরবাসীদের কাছে।
নতুন পোশাক কিংবা প্রসাধনীর স্বপ্ন নেই কুড়িগ্রামের খেটে খাওয়া পরিবারগুলোর। তুলনামূলক কম পুরোনো জামা পরে উৎসবের দিন কাটবে এখানকার শিশুদের। ঈদের দিন পোলাও বা মাংসের বদলে জালে ধরা ছোট মাছের তরকারি দিয়েই ঈদ উদযাপন করছে চরের বাসিন্দারা।
করোনার প্রভাব না কাটতেই অসময়ের বন্যায় নষ্ট হয়েছে ফসল। প্রায় কর্মহীন দিন যাচ্ছে দিনমজুর ও শ্রমিকদের। দুর্মূল্যের বাজারে হাতে পয়সা না থাকার দীর্ঘশ্বাস চরের ঘরে ঘরে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলহানী হওয়ায় ঈদের আনন্দে ভাটা পড়েছে বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা।
কুড়িগ্রামে আছে ছোট-বড় ১৬টি নদনদী। আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীগুলোর চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।
এসজেড/
Leave a reply