রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপীয় ইউনিয়নের

|

সদস্য দেশগুলোর বিবাদের মধ্যেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। জোট সদস্যদের মধ্যে ভোটাভুটির পর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে। খবর ডয়েচে ভেলের।

যদিও এরইমধ্যে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া ঘোষণা দিয়েছে, রুশ জ্বালানি তেলের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন দেবে না তারা। বিবিসিসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, রুবল দিয়েই মস্কোর কাছ থেকে গ্যাস কিনছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ।

রুবলের মাধ্যমে জ্বালানির মুল্য পরিশোধে রাশিয়ার দাবিকে কেন্দ্র করে গেল কয়েকদিন ধরেই তোলপাড় আন্তর্জাতিক রাজনীতি। এরইমধ্যে গেল সপ্তাহে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় রুশ সরকার। পুতিন প্রশাসনের দাবি, রুবলের মাধ্যমেই পরিশোধ করতে হবে গ্যাসের মুল্য।

এ ঘটনার পর দফায় দফায় আলোচনার টেবিলে বসে ইউরোপের নেতারা। অবশেষে এবার রাশিয়ার জ্বালানি তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা প্রস্তাব দিয়েছে ইইউ।

বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী কিরিল প্যাটকোভ বলেন, রাশিয়া যেভাবে বুলগেরিয়াকে ব্ল্যাকমেইল করেছে, এটা পুরো ইউরোপের জন্য অশনিসংকেত। এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, এখন আর জ্বালানির নতুন উৎস সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। তাই গ্রিসকে সাথে নিয়ে আমরা গ্যাসের নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আগামী বছরের শুরু থেকেই এই প্রকল্পের কাজ আরম্ভ হবে।

ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল বলেন, রাশিয়া যেন তার জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার না করতে পারে। ক্রেমলিনকে ঠেকাতে আমরা বদ্ধ পরিকর। তাই আমাদের লক্ষ্য খুবই স্পষ্ট। আর তা হলো নতুন করে রাশিয়ার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা। এবার আমাদের টার্গেট রুশ জ্বালানি তেল।

ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে রুবল দিয়ে গ্যাস কেনা নিয়ে বিবাদ ছিলই। বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দাবি, গোপনে রাশিয়া থেকে রুবল দিয়ে গ্যাস কিনছে জার্মানি, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরিসহ ১০ দেশ। এরমধ্যেই জ্বালানি তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবের পর আরও স্পষ্ট হয়েছে বিভাজন।

হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার জিজার্তো বলেন, অন্যকোনো দেশে যুদ্ধের বলি হবে না হাঙ্গেরির সাধারণ মানুষ। তাই রাশিয়ার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ভোট দেবো না আমরা। কারণ এতে করে যে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে, তা সামাল দেয়ার সক্ষমতা নেই হাঙ্গেরির।

রাশিয়ার রফতানি করা গ্যাসের বেশিরভাগেরই ক্রেতা ইউরোপীয় দেশগুলো। এরমধ্যে বুলগেরিয়া, জার্মানি, ইতালির মতো দেশগুলো তাদের আমদানি করা গ্যাসের বেশিরভাগই নেয় রাশিয়ার কাছ থেকে। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঘোষণা দেয়, রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ কমানোর।
/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply