ধর্ষণ মামলা দিতে আসা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনটি হয়েছে ভারতের উত্তর প্রদেশে। গণধর্ষণের শিকার ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী অভিযোগ জানাতে গেলে উল্টো তার ওপর নির্যাতন চালায় রাজ্যের ললিতপুর থানার ইনচার্জ তিলকধারী সরোজ। এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
সম্প্রতি চার যুবক অপহরণ করে ভারতের উত্তর প্রদেশের ললিতপুরের ১৩ বছরের ওই কিশোরীকে। ৪ দিন নিপীড়ন চালানোর পর তাকে ফেলে রেখে যাওয়া হয় বাড়ির সামনে। মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে ওই কিশোরী থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে স্টেশন ইনচার্জ তিলকধারী সরোজ তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠেছে। জানানো হয়, পুলিশ কর্মকর্তা তিলকধারী সরোজকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই থানার সব পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশের ডিআইজি পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। বিরোধী শিবির অভিযোগ করেছে, নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। এ ঘটনার সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াংকা গান্ধিও।
সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব বলেন, গোরখপুর, হাথরসের পর এখন ললিতপুরে রক্ষকই ভক্ষকে পরিণত হয়েছে। এর জন্য দায়ী খোদ বিজেপি সরকার।
সমাজবাদী পার্টির আরেক নেতা অনুরাগ ভাদোরিয়া বলেন, বিজেপি সরকার স্লোগান দেয়, বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও। এটা এখন হওয়া উচিত, পুলিশের হাত থেকে বেটি বাঁচাও।
২০১২ সালে নির্ভয়া-কাণ্ডের পর আলোচিত হয় ভারতে ধর্ষণের ঘটনা। ২০২০ সালে দেশটিতে ২৮ হাজার ৩৭৯ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে ঝালমুড়ি না দেয়ায় বিক্রেতাকে পাথর মেরে খুন
/এম ই
Leave a reply