মূল আসামি গ্রেফতার হয়েছে, তদন্ত শেষে তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিটও দাখিল করেছে পুলিশ। তারপরেও রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জমিতে সেচের পানি না পেয়ে আত্মহননকারী দুই কৃষকের পরিবারের উদ্বেগ কাটেনি। সম্প্রতি সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক ঘটনাস্থল নিমঘুটু পরিদর্শন শেষে জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে এখনও নিরাপত্তাহীন গ্রামের ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর মানুষ।
ঈদের ঠিক আগের দিন সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা গিয়েছিলেন গোদাগাড়ীর নিমঘুটু গ্রামে। উদ্দেশ্য, জমিতে সেচের পানি না পাওয়ায় আত্মহননকারী দুই কৃষকের পরিবার কেমন আছেন তা জানা। কিন্তু তাদের বাড়িতে কাউকেই পাওয়া গেলো না। প্রতিবেশীরাও জানেন না কিছুই। বাদশা বললেন, আদিবাসীরা নিরাপদ নয়। নিমঘুটু আদিবাসীদের জন্য অনিরাপদ একটি গ্রাম বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের সঙ্গে একান্তে কথা বলে এই আইনপ্রণেতা জানান, এখনও স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপ রয়েছে নিহতদের পরিবারের ওপর। সেই উদ্বেগ আর নিরাপত্তাহীনতা থেকেই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোনো মানুষই মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না এখনও।
এই সংসদ সদস্য বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে অবগত করার কথা জানান। যদিও পুলিশের দাবি, তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেফতার ও এই মামলার চার্জশিট দাখিল করেছেন। নিরাপত্তাহীনতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস তাদের। রাজশাহী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ তাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে যথাযথভাবে পালন করেছে বলেও দাবি করলেন তিনি।
গত ২৩ মার্চ নিমঘুটু গ্রামের রবি মার্ডি ও তার চাচাতো ভাই অভিনাথ মার্ডি একসঙ্গে বিষপান করেন। পরিবারের অভিযোগ, জমিতে সেচের পানি না পাওয়ায় আত্মহত্যা করেন তারা।
/এডব্লিউ
Leave a reply