কাঁকড়ার ঢলে নাকাল কিউবার মাতানজাস শহরের বাসিন্দারা। প্রজনন মৌসুম শেষে সৈকতের উদ্দেশ্যে ছুটে চলেছে লাখো কাঁকড়া। রাস্তাঘাট ছাড়িয়ে কাঁকড়া চলে গেছে বাসাবাড়িতেও। এতে রীতিমত বিপাকে এলাকাবাসী। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাচল। যানবাহন নিচে চাপা পড়ে মারাও যাচ্ছে হাজার হাজার কাঁকড়া।
স্থানীয়রা বলছেন, এটা কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবছর কাঁকড়ার সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। প্রাণীগুলো পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে চলাফেরা। প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যেও। লোকজন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ঝাড়ু নিয়ে বের হচ্ছেন, যাতে রাস্তা পরিষ্কার করতে করতে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন।
কাঁকড়ার কারণে পর্যটকদের অনেক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। কারো গাড়ির টায়ার পাঞ্চার হয়ে যাচ্ছে, কেউ আবার কাঁকড়া দেখে অনেকে ভয়ে বাইরে বের হচ্ছেন না। তাই খুব বেশি পর্যটক আসছেনও না। এদিকে, রাস্তায় গাড়ির চাপায় প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে হাজারও কাঁকড়ার। এ নিয়ে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে শঙ্কা। পরিবেশ বিজ্ঞানী রেইনাল্ডো স্যান্টানা বলছেন, করোনার কারণে গেল দুই বছরে মানুষের চলাফেরা কম ছিল। গাড়িও কম চলাচল করতো। ফলে লাল কাকড়ার সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। তারা এখন বন থেকে সমুদ্রের দিকে যাচ্ছে। প্রাণীগুলো যাতে মারা না পড়ে সেজন্য এখনই যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
মূলত মার্চের শেষ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম। এ সময় তারা দলবেঁধে সাগর থেকে চলে আসে স্থলভূমিতে। পরে আবার ফিরে যায় আবাসস্থলে।
/এডব্লিউ
Leave a reply