ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক নিয়ে দারুণ আশাবাদী মার্কিন বিশেষজ্ঞরা

|

মাহফুজ মিশু:

ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক নিয়ে দারুণ আশাবাদী মার্কিন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশে কাজ করা সাবেক দুই রাষ্ট্রদূত বলছেন, ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও জোরালো ও গভীর হবে। তাদের মতে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকবেই। সেটি সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি এগিয়ে নিতে হবে সম্ভাবনার জানালাগুলো।

ড্যান মজিনা ঢাকা ছেড়েছেন ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। সুদূর ওয়াশিংটনে অবসর জীবনেও বাংলাদেশ, এদেশের মানুষ এখনও তাকে ভাবায়। মার্কিন এই কূটনীতিক বলছিলেন, ৫০ বছরের বাংলাদেশ তার কাছে দারুণ এক বিস্ময়। বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, প্রবৃদ্ধি সবকিছুই মুগ্ধ হওয়ার মতো। মজিনা বলেন, ২০১৪ সালে আমি যে বাংলাদেশ ছেড়ে এসছি, তা এখন সত্যি বদলে গেছে। দুই দেশের সম্পর্কও এখন আরও গভীর ও শক্তিশালী।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের ঢাকা মিশন শেষ হয় ২০১৮ সালে। এখন পররাষ্ট্র দফতরে আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এই কূটনীতিকের মূল্যায়ন, সীমাবদ্ধতা থাকলেও বাংলাদেশের অগ্রগতি চোখে পড়ার মত। মার্শা বলেন, বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে। তরুণরা দারুণ করছে। অর্থনৈতিকভাবে পাল্টে গেছে দেশটা। ২০১৮-তে আমি যখন ঢাকা ছাড়ি তখনকার চেয়েও এই দেশটি নিয়ে এখন আমি বেশি আশাবাদী।

এই দুই সাবেক রাষ্ট্রদূত বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন থাকবেই। সমাধানে অব্যাহত রাখতে হবে আলোচনা। অব্যাহত রাখার তাগিদ ছিল তাদের। মার্শা বার্নিকাট বলছেন, যেকোনো সম্পর্কেই চ্যালেঞ্জ সবসময় থাকে। এমনকি স্বামী-স্ত্রী বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে সম্পর্কেও তা আছে। এসব চ্যালেঞ্জ ও ভিন্নমতকে রেখেই তার সমাধান খুঁজতে হবে, একইসাথে সামনের দিকেও এগুতে হবে।

ড্যান মজিনা বলেন একই কথা। চ্যালেঞ্জ ছিল, আছে, থাকবেও। সেটা চিহ্নিত করতে পারাটা জরুরি। দুই দেশের মানুষই নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসন চায়। অভিন্ন এই চাওয়াটা আমাদের সম্পর্কের শক্তি। সেটা কাজে লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

যমুনা নিউজের প্রশ্ন ছিল, পরবর্তী ৫০ বছরে বাংলাদেশ নিয়ে তার প্রত্যাশা কী? বাঙালি সাজে হাস্যোজ্জ্বল মার্শা বলছিলেন, সারা বিশ্বের বিস্ময় হবে বাংলাদেশ। ৫০ বছর পর এই দেশ বিশ্বকে আরও চমকে দেবে। আর ড্যান মজিনার আশা, আগামীতে বন্ধুত্ব আরও সম্প্রসারিত, জোরালো ও গভীর হবে।

দুজনেরই পরামর্শ, সম্ভাবনার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে হবে বাংলাদেশকে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply