প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কির আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইউক্রেনের পক্ষে লড়াইয়ের জন্য স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়েছিলেন ওয়ালি। স্ত্রী ও ছেলেকে কানাডায় রেখে রুশ বাহিনীর মোকাবিলা করতে পৌঁছেছিলেন ইউক্রেনে। তবে সেখান থেকে হতাশ হয়ে ফিরে এসেছেন তিনি। খবর আরটি নিউজের।
রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়তে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ইউক্রেনে পৌঁছেছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা স্নাইপার ওয়ালি। সম্প্রতি কুইবেক ফিরে তিনি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিজের ‘ভয়ানক হতাশার’ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় গণমাধ্যমকে।
ওয়ালি নামে পরিচিত কানাডিয়ান এই স্নাইপার দাবি করেন, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর অদক্ষতা, দুর্নীতির প্রবণতা, অপর্যাপ্ত অস্ত্র এবং দুর্বল প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার কারণে বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ইউক্রেন।
গেল মার্চে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কির আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইউক্রেনের পক্ষে লড়াইয়ের জন্য স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়েছিলেন ওয়ালি। সেসময় পশ্চিমা মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছিল তাকে। স্প্যানিশ মিডিয়া তাকে ‘বিশ্বের সেরা স্নাইপার’ এর তকমা দিয়েছিল। মার্কিন মিডিয়ায়ও ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন ওয়ালি।
প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে থাকা মানুষকে নিজের অস্ত্র দিয়ে নিখুঁত টার্গেট করতে পারেন ওয়ালি। ২০১৫ ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়তে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ইরাকে গিয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে কানাডার সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে স্নাইপার হিসেবে দুইবার আফগানিস্তানেও গিয়েছেন ৪০ বছর বয়সী এই শার্পশুটার। আর সম্প্রতি স্ত্রী ও ছেলেকে কানাডায় রেখে রুশ বাহিনীর মোকাবিলা করতে পৌঁছেছিলেন ইউক্রেনে। তবে সেখান থেকে হতাশ হয়ে ফিরে এসেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনীর ব্যাপক হামলা
ইউএইচ/
Leave a reply