সিনিয়র করেসপনডেন্ট, জয়পুরহাট:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আয়েশা ছিদ্দিকা (২০) নামের এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার পর শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে রোববার (৮ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার।
রোববার দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাছূম আহাম্মদ ভুঞা সাংবাদিকদের জানান, গত ৭ মে পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকা তার ভাই ও ভাবি বাড়িতে না থাকায় পাশের বাড়িরে দুই ভাতিজিকে ডেকে আনে এবং গভীর রাতে সে নিজ ঘরে একা ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ওই দুই ভাতিজি আয়েশার ঘরের দরজা বাহির থেকে বন্ধ দেখে প্রতিবেশীদের ডেকে আনে এবং তারা দরজা খুলে দেখে আয়েশার বিবস্ত্র লাশ পড়ে আছে।
তিনি আরও জানান, প্রতিবেশী ২ যুবক রাতে তার ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং এক পর্যায়ে তাকে হত্যার পর পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ, ডিবি, সিআিইডি ঘটনাস্থলে যায় এবং নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। রাতে নিহতের ভাই মোস্তাক হোসেন বাদী হয়ে ২ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। মামলার পরই রাতে অভিযুক্ত ২ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের শংকর মহন্তের ছেলে রনি মোহন্ত (৩০) ও একই উপজেলার আয়মাপাড়া গ্রামের খোরশেদ মন্ডলের ছেলে কামিনি জাহিদ (৩২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা সিদ্দিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা এবং হত্যার কথা স্বীকার করেছে আসামিরা।
মূলত, শারীরিক লালসা থেকেই আয়েশাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করতো আটক আসামিরা। পুলিশ সুপার জানান, আসামিরা প্রথমে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে তারা তার মুখে কাপড় গুজেঁ দেয় এবং গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা জানা যাবে বলে জানান তিনি। বিষয়টি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, ফারজানা হোসেন, সার্কেল এএসপি ইশতিয়াক আলম, পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেব, গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাহেদ হোসেন, পাঁচবিবি থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেডআই/
Leave a reply