জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ রফিক-জব্বার হলের পাঁচ তলার ছাদ থেকে পড়ে নিহত অমিত কুমার বিশ্বাসের কক্ষ থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার হাতের লেখার সাথে সুইসাইড নোটের লেখার মিল পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলের ছাদ থেকে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন অমিত। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এনাম মেডিকেলে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ছাত্র অমিত কুমার বিশ্বাস খুলনার দৌলতপুর থানার অজয় কুমার বিশ্বসের ছেলে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম ব্যাচের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন ও শহীদ রফিক জব্বার আবাসিক হলের ৩১৫ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
সুইসাইড নোটে লেখা ছিলো- ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমার মস্তিষ্কই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমি নিজেই নিজের শত্রু হয়ে পড়েছি অজান্তেই। নিজের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। আর না। এবার মুক্তি চাই। প্রিয় মা, বাবা, ছোটবোন সবাই পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও। -অমিত।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ বলেন, প্রথমে ধারণা করেছিলাম বৃষ্টিতে ভিজে পা পিছলে ছাদ থেকে পড়ে অমিতের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরে তার রুমে থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া পর থেকে বিষয়টি নিয়ে আমরা হতবাক। প্রাথমিকভাবে তার হাতের লেখার সাথে সুইসাইড নোটের লেখার সাথে মিল পেয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
এদিকে নিহত অমিতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় পুলিশ।
জেডআই/
Leave a reply