দেশে তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছে ৩শ’ ৯০ কোটি টাকা। গবেষণা প্রতিবেদনে এমন দাবি করে টিআইবি বলছে, বিশাল এ দূর্নীতি হয়েছে দুটি কয়লাভিত্তিক আর একটি এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে। বিদ্যুৎ প্রকল্পে ভূমি ক্রয় ও অধিগ্রহণসহ নির্মাণের নানা পর্যায়ে দুর্নীতির খুঁজে পেয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (১১ মে) সকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি জানায়, বরিশাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ আরও একটি এবং কক্সবাজারের মাতারবাড়ী ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর গবেষণা চালিয়ে তৈরি করা হয়েছে এ প্রতিবেদন।
অঙ্গীকার অনুযায়ী ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে চায় সরকার। ফলে, সামগ্রিক উৎপাদন বাড়াতে জোর দেয়া হচ্ছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে। এমনই দুটি আর এলএনজি ভিত্তিক একটি বিদ্যুত প্রকল্প নিয়ে ১৪ মাস গবেষণা করে টিআইবি। সংস্থাটির দাবি, তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি হয়েছে অন্তত ৩শ’ ৯০ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে বলা হয়, জমি অধিগ্রহ থেকে শুরু করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। জমি কেনা-বেচাতেও আত্নসাৎ হয়েছে প্রচুর অর্থ, যার ভাগ পেয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ আরও অনেকে।
টিআইবির রিসার্চ ফেলো মাহফুজুল হক বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির ভেতরে প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন, পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা সম্পাদন ও পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদান, ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিপূরণ নিরূপণ ও বিতরণ এবং বিভিন্ন অংশীজনের স্বার্থ দেখা হয়েছে।
টিআইবির দাবি, পার্শ্ববর্তী অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের দাম অনেক বেশি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত গবেষণা করে ইউনিট প্রতি দাম পর্যালোচনা করে এসব কথা বলছে টিআইবি। সংকট নিরসনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন ২০১০ বাতিলসহ সাত দফা সুপারিশ করেছে টিআইবি।
ইউএইচ/
Leave a reply