সিলেট ব্যুরো:
সিলেটের এমসি কলেজ স্বামীকে বেঁধে রেখে ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধভাবে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মামলায় চার্জ গঠন হয়েছে।
বুধবার (১১ মে) দুপুরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হকের আদালতে পুলিশের দায়ের করা ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলার চার্জ গঠন করা হয়। এ সময় মামলায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুরসহ আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনীজীবী রাশিদা সাইদা খানম জানান, ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি ধর্ষণ মামলার চার্জ গঠন করা হয়। কিন্তু হাইকোর্ট আলোচিত এ ঘটনায় দায়েরকৃত দুটি মামলা একই আদালতে বিচার
করার জন্য আদেশ দিলে এতদিন ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি। তবে দুই মামলার একসাথে সাক্ষ্যগ্রহণ কবে শুরু হবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক আদেশ দেননি বিচারক। ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর মামলার প্রধান অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী সাইফুরসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ওই গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।
এ ঘটনায় পরদিন সকালে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় গ্রেফতার আট আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
দিয়েছেন। বহুল আলোচিত এ মামলায় ৫১ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।
জেডআই/
Leave a reply