ডলারের বিপরীতে আরও কমেছে টাকার দাম

|

গত দেড় মাসে ডলারের দাম কয়েক ধাপে বেড়েছে ৭০ পয়সা। গত সোমবার ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা। অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে প্রতিনিয়ত ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমাচ্ছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি আমদানি দায় মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বুধবার (১১ মে) নগদ দাম প্রতি ডলারে ৯৩ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা ব্যক্তিরা বলছেন, খোলাবাজারের ওপর কোনো তদারকি না থাকায় এই সংকট বাড়ছে। ব্যাংক খাতের পাশাপাশি খোলাবাজার ও মানি চেঞ্জারে নগদ ডলারের দাম ৯৩ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ঈদের আগে এই দাম ছিল ৯১ টাকা। নগদ ডলারের একমাত্র উৎস বিদেশ থেকে নিয়ে আসা নগদ ডলার। মানুষের বিদেশে যাওয়ার হার বাড়ার বিপরীতে বিদেশি পর্যটক ও নগদ ডলার দেশে আসছে কম। এর ফলে ডলারের চাহিদা বেড়েছে, বাড়ছে নগদ ডলারের সংকট ও দাম।

এদিকে, ডলারের দাম বাড়ায় যারা বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের খরচও বেড়ে গেছে। সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে। ফলে রিজার্ভও কমছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করেছে ২ কোটি ১০ লাখ। চলতি অর্থবছরের ডলার বিক্রির পরিমাণ ৫০০ কোটি ছাড়িয়েছে।

এদিকে ব্যাংকগুলো চলতি অর্থবছরে ডলার কেনার জন্য প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়েছে। এ কারণে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্যও কমে এসেছে। আর তাই অর্থনীতিবিদরা ডলারের দাম ধরে না রেখে বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, রফতানির চেয়ে আমদানি অনেক বেশি হওয়ায় ডলারের দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাবে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সারাদেশে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply